রোজদিন ডেস্ক :- অগ্নিগর্ভ এখন বাংলাদেশ। শুধু চারিদিক জ্বলছে। নেই কোনো ইন্টারনেট পরিষেবা। সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করলো বাংলাদেশে। বৃহস্পতিবার দিনভর হিংসা, মারামারির সাক্ষী রইল দেশ। এর ফলে শুধু আজ সারাদিনেই ১৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বুধবার ৬ জনের মৃত্যু হয়। ফলে দু’দিনে মৃত্যুসংখ্যা ২৫-এ গিয়ে ঠেকল। এক সাংবাদিকও মারা গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। আজ দুপুর পর্যন্ত কয়েক শো আহত ছিলেন যেখানে, রাত গড়াতে না গড়াতে তা বেড়ে হল ২৫০০-র বেশি। রাজধানী ঢাকা-সহ সর্বত্রই হিংসা ছড়িয়েছে।
কোটা বিরোধী আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক সংঘর্ষে মৃতদের মধ্যে একজন সাংবাদিক, একজন রিকসো চালক ও একজন পথচারীও আছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকার উত্তর এলাকায় সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করার সময় গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় একটি পোর্টালের সাংবাদিক। বছর বত্রিশের মেহেদী হাসান ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক। সাম্প্রতিক অতীতে বাংলাদেশে কোনও ঘটনায় এত মানুষের প্রাণ যায়নি।
উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র মহম্মদ ইমাদ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও এক যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু’জনকে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
উত্তরা এলাকাই বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি অশান্ত ছিল। সেখানে মৃত্যু হয় মোট পাঁচজনের। এছাড়া চট্টগ্রাম শহর এবং লাগোয়া এলাকাতেও সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে গোলমালের খবর এসেছে অন্য শহর থেকেও। ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দাবি করেছেন, সংঘর্ষে জড়িতদের বেশিরভাগই ছাত্র নন। হামলাকারীদের তাঁরা চিহ্নিত করেছেন।
Be the first to comment