রোজদিন ডেস্ক :- লোকসভা ভোটে এবার বহরমপুর থেকে পরাজিত হয়েছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রাজ্যে বামেদের সঙ্গে জোটের পরও ভরাডুবি হয়েছে তাঁর দলের ৷ আর রাজ্যে দলের এই বিপর্যয়ের পরই ইস্তফা দিলেন অধীর।
আজ দিল্লিতে জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল এবং বাংলার পর্যবেক্ষক গোলাম আহমেদ মির সাহেবের উপস্থিতিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয় অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে। জানা গিয়েছে, রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠন মজবুত করা, নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে আলোচনা হয়। জাতীয় রাজনীতিতে ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে চললেও রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের সঙ্গে সমীকরণ কী হবে, সেবিষয়ে প্রত্যেক প্রদেশ নেতার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন বেণুগোপাল।
সবার প্রথমে নিজের বক্তব্য জানিয়ে বেরিয়ে আসেন অধীর চৌধুরী। সাংবাদিকদের তিনি জানান, বাংলার বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। তিনি যে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, সেকথা ফের জানালেন।
জানা গিয়েছিল, লোকসভা নির্বাচনে হারের পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন অধীর। পরে অধীর জানিয়েছিলেন, তিনি এখনও অস্থায়ী সভাপতি। সোমবার কংগ্রেস কমিটির বৈঠকে অধীরের ইস্তফার কথা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন শীর্ষ নেতৃত্ব।
এজকের বৈঠক নিয়ে এক কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘বাংলার সংগঠন নিয়ে আমরা কী ভাবছি তা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন বেণুগোপাল। এমনকি, সভাপতি হিসাবে আমরা কাকে চাইছি সেই বিযয়েও, জানতে চান তিনি। আমরা আমাদের কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, শীঘ্রই সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। আপাতত ভারপ্রাপ্ত হিসাবে অধীরদাই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। মঙ্গলবার রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে বৈঠক হবে। তার পর এআইসিসি যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মাথা পেতে নেব।’’
কংগ্রেস সূত্রে খবর, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে আছেন চার জন। বাগমুণ্ডির প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো। অধীরের ঘনিষ্ঠেরা তাঁকেই সভাপতি হিসাবে চাইছেন বলেও খবর। এ ছাড়াও কংগ্রেসের প্রাক্তন সম্পাদক শুভঙ্কর সরকারও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে রয়েছেন। পাশাপাশি আরও দু’টি নাম ভেসে রয়েছে। ২০১৫ সালে সিপিএম ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া আব্দুস সাত্তার এবং উত্তরবঙ্গের কংগ্রেস নেতা তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। এখন দেখার শীর্ষ নেতৃত্ব কাকে দায়িত্ব দেন।
Be the first to comment