হুইলচেয়ারে বসেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অদম্য জেদ নিয়ে আহত অবস্থাতেই জেলা সফরে বেরিয়ে পড়েছেন নেত্রী। সপ্তাহের প্রথম দিন তিনি পৌঁছে গিয়েছেন পুরুলিয়ায়। ঝালদাতে হুইলচেয়ারে বসেই বক্তব্য রাখলেন নেত্রী। জানালেন দুর্ঘটনার রাতের অভিজ্ঞতার কথা।
এদিন তিনি বলেন, গত ১০ তারিখ আমি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলাম। আমার সারা শরীরে আঘাত লাগে। পায়ে গুরুতর চোট পাই। সৌভাগ্যবশত বেঁচে গিয়েছি। বিরোধীদের কটাক্ষ করে মমতা বলেন, অনেকে ভেবেছিলেন আমি আর বেরতেই পারব না। কিন্তু, ভাঙা পা নিয়েই আমি নির্বাচনের প্রচার করব। এদিনের সভা থেকেই মমতা ঘোষণা করেন, আগামীদিনে বিনামূল্যে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হবে।
তবে এদিনের নির্বাচনী সভা ছিল একেবারেই অন্যরকম। মঞ্চে হাঁটতে থাকা কিংবা তর্জনী উঁচিয়ে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করা নেত্রীর বদলে পুরুলিয়া এদিন দেখল অন্যরকম মমতাকে। যদিও তিনি আগেই বলেছেন, ‘আহত বাঘ আরও ভয়ঙ্কর।’ পায়ে চোট থাকলেও নেত্রীর গলায় ছিল সেই চেনা পরিচিত বিজেপি বিরোধী সুর। তিনি বলেন, আমার পা তো ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু, বিজেপির পা আর বাংলায় পড়বে না।
একইসঙ্গে তাঁর সাবধানবাণী, বিজেপির পাতা ফাঁদে কেউ পা দেবেন না। ওরা ফাইভ স্টার হোটেল থেকে খাবার আনে, আর দু’ঘণ্টার জন্য ঘর ভাড়া নেয়। আর দেখায় গরীবদের ঘরে খাচ্ছে। টাকা নিয়ে নিচের চরিত্র বিক্রি করবেন না।
পাশাপাশি ঝালদার সভা থেকেই বাংলার উন্নয়নকে হাতিয়ার করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল বাংলায় যা কাজ করেছে তা বিশ্বের আর কোনও দল পারবে না।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাতে অক্ষম।’ এদিন হুইলচেয়ারে বসেই মমতা ঘোষণা করেন, আগামীদিনে বাংলার ঘরে ঘরে বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিজেপির পাশাপাশি এদিন কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিন। ২০ বছর ধরে বাংলার অথর্ব পাথর কংগ্রেস।
Be the first to comment