সমাপ্তি হলো সেই অভিশপ্ত দিনের।বাড়ি ফিরলেন যাত্রীরা। পুরো একটা দিন কাটিয়ে অবশেষে শিয়ালদহ পৌঁছল ‘অভিশপ্ত’ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর ৩ টে বেজে ১৬ মিনিট,শিয়ালদহের ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকল ১৩১৭৪ ডাউন আগরতলা-শিয়ালদহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস।
শহরের মাটিতে পা রেখেই যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন ১২৯৩ জন মৃত্যু কে ছুঁয়ে আসা যাত্রী। মৃত্যুকে ছুঁয়ে কপালজোরে ঘরে ফেরা হলো তাদের, যাত্রীদের চোখে মুখে লেগে চরম আতঙ্কের ছাপ।
শিয়ালদহ স্টেশনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিয়ালদহের ডিআরএম দীপক নিগম এবং রেলের অন্যান্য অফিসাররা। ট্রেন থামতেই প্রতি জানালায় উঁকি দিয়ে দেখেন ফিরহাদ। কথা বলেন আতঙ্কিত যাত্রীদের সঙ্গে। তাদের সান্তনা দেন। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় খাবার ও জল। কেমন আছেন যাত্রীরা, কারও কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখেন ফিরহাদ এবং রেলকর্তারা।
গতকাল, উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাতে শিয়ালদহ নামার পর যাত্রীরাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্টেশন চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকবে একাধিক সরকারি বাস। সেই মতোই দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৃত্যুকে পাশ কাটিয়ে ঘরে ফেরার শাস্তির নিঃশ্বাস ফেলল যাত্রীরা।তবে তাও সেই আতঙ্কে ভরা অভিশপ্ত দিনের স্মৃতি যেন কিছুতেই ভুলতে পারছেন না তারা।
Be the first to comment