অমৃতা ঘোষ ( ২২ জুলাই) :-
হিন্দু ধর্মে শ্রাবণ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসটি যেন ভক্তি ভরে ভগবান শিবকে উৎসর্গ করা হয় । বিশেষ করে শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার অত্যন্ত পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, এই বছর ২২ জুলাই থেকে শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার শুরু হচ্ছে। এই দিনে, উপবাস পালন এর প্রথা রয়েছে। একে প্রথম সোমবার বা বন সোমবারও বলা হয়। এই দিনে ভগবান শিবের আরাধনা করলে শুধু ভক্তি আসে না, জীবনের সমস্যারও সমাধান হয়। মহাদেবের অপর নাম আশুতোষ, অর্থাৎ যিনি শীঘ্র আনন্দিত হন।
ভোলা মহেশ্বর খুব অল্পতেই তুষ্ট হন। লোকে বলে ভোলে বাবা ভক্তের কষ্ট সহ্য করতে পারেন না। ভক্তি ভরে মন থেকে ডাকলে বাবা অবশ্যই সহায় হন। তাইতো শিব ভক্তেরা এই শ্রাবণ মাস অর্থাৎ বাবার জন্মমাস টিকে ভক্তি ভরে পালন করে। কেউ কেউ সারা মাস জুড়ে সাত্বিক আহার গ্রহণ করে, কেউবা আবার সোমবার গুলি বিশেষ ভাবে পূজার্চনা করে থাকেন।
কিন্তু জানেন, শুধুমাত্র পূজো করলেই যথেষ্ট নয়… ভগবান শিবের আশীর্বাদ লাভের জন্য আরও কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চলা উচিত। যেমন :
১) শিবলিঙ্গে অভিষেক:
শিবলিঙ্গে জল, দুধ, দই, ঘি, মধু, ফুল, বেলপাতা, গাঁজা, ধুতুরা ইত্যাদি দিয়ে অভিষেক করলে ভগবান শিব অত্যন্ত প্রসন্ন হন।
বিশেষ করে, শুদ্ধ গঙ্গাজল দিয়ে অভিষেক করলে শুভ ফল লাভ হয়।
২) ব্রত:
শ্রাবণ মাসের প্রতিটি সোমবার ব্রত পালন করলে ভগবান শিবের বিশেষ কৃপা লাভ হয়।
ব্রত পালনের সময় নিরামিষ খাবার গ্রহণ করা উচিত এবং মদ্যপান ও মাংসাহার সম্পূর্ণ বর্জন করা উচিত।
৩) শিব মন্ত্র জপ:
ওম নমঃ শিবায়, শিব মন্ত্র জপ করলে মন শান্ত হয় এবং পাপ থেকে মুক্তি লাভ হয়।
নিয়মিত জপ করলে ভগবান শিবের আশীর্বাদ লাভ হয়।
৪) দান:
শ্রাবণ মাসে দান-ধ্যানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
গরিব ও অসহায়দের দান করলে ভগবান শিব অত্যন্ত প্রসন্ন হন এবং পাপ থেকে মুক্তি লাভ হয়।
৫) শিবের ভক্তদের সেবা:
সামর্থ্য থাকলে দরিদ্র, অসহায় ও বৃদ্ধ শিবভক্তদের সেবা করুন।
আশ্রম ও মন্দিরে গিয়ে সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করুন। এতে পুণ্য লাভ হয় এবং ভগবান শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
ভক্তের ওপর শিবের আশীর্বাদ থাকে। এর ফলে জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি ও দাম্পত্য জীবনে মাধুর্যের আগমন ঘটে।
শ্রাবণ মাসের সোমবারে শিবের আরাধনা করলে গ্রহ – নক্ষত্রের শুভ ফল পাওয়া যায়, পাশাপাশি সমস্ত গ্রহদোষ দূর হয়।
Be the first to comment