পুজোর উদ্বোধন শুরু হয়েছে মহালয়ার আগেই. একে একে উদ্বোধন হচ্ছে শহরের বড় বড় পুজোগুলি। ইতিমধ্যেই হাতিবাগান সর্বজনীন, চালতা বাগান লোহাপট্টির পুজো দিয়ে এবছর উদ্বোধনের যাত্রা শুরু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যস্ত রুটিনের ফাঁকেই চলছে উদ্বোধন। রোজই শহরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটছেন তিনি। কোথাও গিয়ে মন্ত্রোচ্চারণ করছেন তো কোথাও খাওয়া দাওয়া নিয়ে জমিয়ে আড্ডা। দেখলে মনে হতে পারে, তিনি তো পাড়ারই মেয়ে। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি পৌঁছে যান বালিগঞ্জ ফাঁড়ির ২১-এর পল্লির পুজো মণ্ডপে। প্রশংসা করলেন পুজো উদ্যোক্তাদের। স্লেটে আঁকলেন মা দুর্গার ছবিও।
বালিগঞ্জ ফাঁড়ির ২১-এর পল্লিতে দীর্ঘ ৭২ বছর বছর ধরে পূজিত হচ্ছেন মা দুর্গা। প্রতিবছর এই মণ্ডপে হয় নতুন নতুন থিম। চার ছেলে-মেয়েকে সাজিয়েও তোলা হয় থিমের প্যাটার্নেই। এবারে এখানকার থিমের নাম মজা। কীভাবে কেন এই থিমের মাধ্যমে মাতৃ আরাধনা? পুজো উদ্যোক্তা সুরেশ শেঠিয়া বললেন, এবারের পুজোর থিম মজা। সারা বছর আমাদের এলাকার মানুষজন, ছোটো-বড়রা, সকলে পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। কয়েকটা দিন আনন্দ করবেন বলে। তাই মজাকে কেন্দ্র করেই এবারের থিম।
আর পুজো উদ্বোধনে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিলেন ব্যবসার পরামর্শ। বললেন, বড় ব্যবসা তো চলেই। সারা বছর সব জায়গায় চলে। কিন্তু ছোটো ব্যবসা তো ঘরে ঘরে চলে। পুজোর সময় কত ছোটো ব্যবসা হয় বলুন তো। এই যে ডেকরেটার্স। কত আয় হয় এই সময়। আজ কত মৃৎশিল্পী আছেন। তাঁদের কত আয় হয়। তাই আমার মনে হয় এই একটা পুজো, একটা উৎসবের মধ্যে দিয়ে মানুষের কর্ম উৎপাদন হয়। এই উৎসবে সারা ভারতবর্ষ তথা সারা পৃথিবী মিলিত হয় বাংলায়। দেখবেন কত লোক আসে বাইরের দেশ থেকে। এই পুজোকে ঘিরে বড় ব্যবসাও হয় বাংলায়। আর এটা আমাদের লক্ষ্মী। উৎসব আমাদের লক্ষ্মী।
রবিবার ২১-এর পল্লির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, সুব্রত বক্সি, মালা রায়। পুজো উদ্যোক্তাদের থিমের শাড়ি নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। নিজের উদাহরণ টেনে বলেন, এখানে সকলের পোশাক কম্বিনেশন খুব ভালো। ছেলেদেরটা বেশি ভালো। মেয়েদেরটা অত ভালো না। এর পরেরবার চন্দ্রিমাকে জিজ্ঞাসা করে নেবে। ও কোথা থেকে কেনে শাড়ি। একটু সিল্ক হলে ভালো হয় মেয়েদের। সুতির শাড়ি হলে বৃষ্টিতে ভিজলেই নেতিয়ে যায়। তাতে সমস্যা হয়। আসলে আমি এসব করি তো তাই মাথায় ঢুকে আছে।
দেখুন ভিডিও-
Be the first to comment