চিরন্তন ব্যানার্জি :- কলকাতায় একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে মমতার বিশেষ অনুরোধে সাড়া দিয়ে উপস্থিত হলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ সিং যাদব। এদিন তিনি বক্তব্যও রাখলেন। বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ সিং যাদব বলেন, যাঁরা মানুষকে ভাগ করেন তাঁদের কোনো মহাপুরুষ হয় না, মহাপুরুষ তাঁরাই হয় যাঁরা মানুষকে ভালোবসেন। এদিনের তাঁর বক্তব্যে উঠে এল কেন্দ্রের বিজেপি বিরোধিতায় মমতার সঙ্গে একসঙ্গে চলার কথা। অখিলেশ নেত্রীর প্রশংসা করে বক্তৃতা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘‘দূর পর্যন্ত দিদির দলের কর্মীরা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ যে, এই কর্মসূচিতে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দিদি যে ভাবে খুশি হয়ে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করছেন, এই যে নেতা এবং কর্মীদের সম্পর্ক, এটাই দলকে মজবুত করে। যে কর্মীরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করছি আজ। সব দলের ভাগ্যে এ রকম কর্মী মেলে না, যাঁরা প্রাণ দিতে পারেন। মমতার কাছে এ রকম কর্মী রয়েছেন। কর্মীরাই দলের ভিত্তি। যে যত বড়ই নেতা হন, তিনি আসলে কর্মীই থাকেন। কর্মীরা ছোট নন, তাঁরাই বড়।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে অখিলেশ বলেন, ‘যখন দিদিকে আমি দেখেছিলাম, যে পায়ে প্লাস্টার থাকা সত্ত্বেও মানুষের জন্য কীভাবে উনি লড়াই করে যাচ্ছেন। এমন নেতা কম হন।’ একুশের মঞ্চ থেকে কড়া সমালোচনা করলেন বিজেপি সরকারের। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি আজ ষড়যন্ত্র করে চলেছে। যারা দিল্লির মসনদে বসে আছেন, তারা বিভাজনের রাজনীতি করে সবাইকে বিভক্ত করে নিজেদের রাজত্ব চালিয়ে যেতে চান। বাংলায় আপনারা এক হয়ে লড়াই করে বিজেপিকে হারিয়েছেন, উত্তর প্রদেশেও আমরা বিজেপিকে হারিয়েছি। দিল্লিতে যে সরকার চলছে সেই সরকার কিছুদিনের সরকার। এই সরকার চলতে পারবে না, এই সরকার পড়ে যাবে। যারা শুধু মানুষে মানুষে বিভেদ করে, তাদের মধ্যে কোনো নেতা থাকতে পারে না। যখন দেশের জনতা জেগে উঠবে, তখন এই সব শক্তিকে হারতেই হয়।’ বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা নেগেটিভ রাজনীতি করি না, আমরা পজিটিভ রাজনীতি করি। আমরা সকলে মিলে দেশকে বাঁচাতে, সংবিধান বাঁচাতে, একসঙ্গে লড়াই করবো। আগামী দিনে যে লড়াই আসছে, আমি কথা দিচ্ছি সেই লড়াইতে আমি সারা জীবন আপনাদের সঙ্গে থাকবো।’
Be the first to comment