চিরন্তন ব্যানার্জি :- রাত পোহালেই তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ। আর সেই উপলক্ষে তার আগের দিন সকাল থেকেই বাস পরিষেবায় টান পড়লো শহর কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও। বাসমালিক সংগঠন সূত্রের খবর, একুশের সমাবেশে ধর্মতলায় কর্মী সমর্থকদের আনতে কলকাতার পাশাপাশি দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলি জেলার অধিকাংশ বেসরকারি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে। তালিকায় রয়েছে মিনিবাসও। অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারন সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানান, আগামীকাল সভার জন্য শহর ও শহরতলি এলাকা অনুযায়ী ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ বাস, মিনিবাস নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট যা থাকবে জ্যাম জট জন্য চলার সম্ভাবনা কম। পাশাপাশি খিদিরপুর, মেটিয়াবুরুজ, বেহালা, নাকতলা, গড়িয়া স্টেশন হয়ে বিভিন্ন রুটে চলা মিনিবাসও প্রায় সবই তুলে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, কলকাতায় প্রত্যেকদিন প্রায় ৩৯০০টি বাস চলে। তার মধ্যে অন্তত তিন হাজার বাস সমাবেশে আসার জন্য তুলে নেওয়া হয়। বাদবাকি বাসগুলি কলকাতা এবং শহরতলির ধর্মতলামুখী রাস্তা বাদ দিয়ে অন্য কিছু রুটে বাস চালানোর কথা ভাবচ্ছে মালিক সংগঠনগুলি। কিন্তু তা বাস্তবে কতটা সম্ভব হবে, সে ব্যাপারে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু জানান, “উত্তর কলকাতার বেশির ভাগ রুটের বাসগুলি নিয়ে প্রায় ৩০০টি বাস শনিবার দুপুর থেকেই কলকাতা স্টেশনে থাকছে। ট্রেনে করে উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকরা পৌঁছালে, তাদের শহরের নির্দিষ্ট থাকার জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ওই বাসগুলিকে কাজে লাগানো হবে।’’ অর্থাৎ সব মিলিয়ে সপ্তাহের শেষ দিনে বাড়ি ফেরার সময় নিত্যযাত্রীদের যে বাস পরিষেবার জন্য ভোগান্তির শিকার হতেই হবে তা নিঃসন্দেহে বলাই বাহুল্য।
Be the first to comment