চিরন্তন ব্যানার্জি :- লোকসভা ভোট এবং উপ নির্বাচনের ব্যাপক সাফল্যের পর তৃণমূলের প্রথম বড়ো কর্মসূচী হতে চলেছে রবিবার। তাই অন্য বছরের তুলনায় এবছর একুশে জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসে বেশি মানুষের সমাগম হতে পারে বলেই মনে করছে একাংশ। তাই আজ কোনো রকম অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য পুলিশি নজরদারিও থাকবে আটোশাটো। নগরপাল বিনীত গোয়েল জানান, এবছর ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট, পার্কিং ম্যানেজমেন্ট, ক্রাউড কন্ট্রোল ও ভিআইপি সিকিউরিটি প্ল্যান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলির ওপর অনেকদিন ধরে আলোচনা হয়েছে। সেই হিসেবেই কাজ করছি আমরা। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করতে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হবে। বৃষ্টিতে পার্কিংয়ে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকেও বাড়তি নজরদারি রাখা হচ্ছে। যে কোনও আপদকালীন ব্যবস্থা রুখতে আমরা তৈরি। অন্যদিকে, দমকল দপ্তরের ডিরেক্টর অভিজিৎ পান্ডে বলেন, “একুশে জুলাইয়ে ৬টি পয়েন্টে দমকলের ইঞ্জিন থাকবে। ৮টি পয়েন্টে দমকলের মোটরসাইকেল থাকবে। এছাড়া থাকবে মোবাইল কন্ট্রোল রুম ভ্যান। মঞ্চের পিছনে বিশেষ অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি দমকল স্টেশনকে সতর্ক করা হয়েছে।” রবিবার শহীদ দিবস উপলক্ষে ট্রাফিক-সহ মোতায়েন থাকবেন প্রায় ৫০০০ পুলিশকর্মী। ধর্মতলা সহ মধ্য কলকাতায় মোতায়েন থাকবেন ৮ জন যুগ্ম কমিশনার, ২৬ জন ডেপুটি কমিশনার ও ৮০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক। তাঁদের নেতৃত্বে অন্যান্য পদস্থ কর্তা-আধিকারিক-কর্মীরা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রসঙ্গত, এদিন শহরে ৬টি জায়গা থেকে বড়ো মিছিল করে কর্মী সমর্থকেরা তৃণমূল সুপ্রিমোর বার্তা শুনতে আসবে ধর্মতলায়। যেমন লালবাজার সূত্রে খবর, হাওড়া স্টেশন থেকে যে মিছিল আসবে তা হাওড়া ব্রিজ, ব্রেবোর্ন রোড, নিউ সিআইটি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, চাঁদনি চক, এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে পৌঁছবে সভা স্থলে। শ্যামবাজার থেকে যে মিছিল আসবে তা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, চাঁদনি চক, এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে আসবে ধর্মতলায়, দক্ষিণ কলকাতা থেকে আসা মিছিল আশুতোষ মুখার্জি রোড, জহরলাল নেহুরু রোড হয়ে আসবে ধর্মতলায়, শিয়ালদহ থেকে মিছিল শুরু হয়ে এজেসি বোস রোড, মৌলালি, এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে ঢুকবে সভাস্থলে। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় থানার পুলিশ প্রতিটি মিছিলকে এসকর্ট করবে। একুশে জুলাইয়ের সভামঞ্চের আশপাশে থাকবে ১৮টি অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়াও থাকবে ৬টি কুইক রেসপন্স টিম। সভামঞ্চ সংলগ্ন চারটি ঘাটে মোতায়েন থাকবে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সাধারণ মানুষের সহায়তার জন্য শহরজুড়ে ৪৮টির বিশেষ বুথের ব্যবস্থা থাকবে। এর পাশাপাশি, একাধিক জায়গায় থাকবে পুলিশ পিকেট। সভামঞ্চের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার জন্য ধর্মতলা এলাকার প্রায় ২০টি উঁচু বহুতলের ছাদ থেকে নজরদারি চালাবে পুলিশ। একুশে জুলাইয়ের সভামঞ্চের আশেপাশে ৪০টিরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আজ এজেসি বোস রোড (হেস্টিংস ক্রসিং থেকে ক্যাথিড্রাল রোড), কুইন্সওয়ে, লাভার্স লেন, ক্যসুরিনা অ্যাভিনিউ এলাকায় কোনও গাড়ি পার্ক করা যাবে না। পাশাপাশি, যে সব রাস্তা দিয়ে মিছিল যাবে, সেই রাস্তায় কোনওরকম যানবাহনের পার্কিং করা যাবে না। প্রয়োজন মতো যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ট্রাফিক পুলিশ।
Be the first to comment