ওড়িশার অচেনা সৈকত, ‘রুশিকুল্যা’
যারা ভাবছেন দিনকয়েকের ছুটিতে কোথাও ঘুরে আসলে বেশ ভালো হয়, তাদের জন্য নতুন অচেনা জায়গার হদিস দিতে চলেছি আমরা।
জায়গাটি হলো ওড়িশার ‘রুশিকুল্যা’
বৃষ্টিমুখর দিনের সকাল বেলাতে ঘুম চোখে উঠে এক কাপ গরম চায়ে আলতো চুমুক দেওয়া থেকে শুরু করে মধ্যাহ্ন ভোজন সেরে নরম রোদ উপভোগ করা পর্যন্ত বেশ আরামে আনন্দে কাটাতে চান?? তাহলে ঘরে বসে না থেকে চলুন না একটু সমুদ্রের উষ্ণ নোনা জলে পা ভিজিয়ে আসা যাক। কাছাকাছির মধ্যে যদি কোথাও সপ্তাহের কটা দিন একটু নিরিবিলিতে নিজেদের সঙ্গে সময় কাটাতে চান আর সেই জায়গা যদি হয় একেবারে অচেনা অর্থাৎ সাধারণ পর্যটকদের চেনা ছকের বাইরে কোনো জায়গায়, তাহলে দারুন হবে…..
ওড়িষ্যার “রুশিকুল্যা” সমুদ্র সৈকতে। বর্ষায় অন্য কোনো জায়গায় না গিয়ে সমুদ্র সৈকতে একবার ঘুরে আসতেই পারেন, বর্ষার সমুদ্রের রূপ অসাধারণ। সমুদ্রে নেমে স্নানের কথা একদমই ভাববেন না, কারণ এই সময় সমুদ্র বেশ উত্তাল হয়ে থাকে তাই পাড়ে বসেই সমুদ্র উপভোগ করুন। আর যদি বর্ষায় যেতে না পারেন তবুও ক্ষতি নেই, সামনের শীতে ঘুরে আসার জন্য বেস্ট উইকেন্ড ডেস্টিনেশন এই রুশিকুল্যা। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি এই রুশিকুল্যা সমুদ্র সৈকতে ‘অলিভ রিডলে’ নামক কচ্ছপরা বালির তলায় ডিম পাড়তে আসে। এক অভিনব অভিজ্ঞতায় আপনার মনকে ভরিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ঠ।এছাড়াও ব্রহ্মপুর খুব কাছে হওয়ায় ওখান থেকে দু একদিন গোপালপুর সি বিচও ঘুরে নিতে পারেন।
পথ নির্দেশিকাঃ
হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে চলে যেতে পারেন ভুবনেশ্বর। ভুবনেশ্বর স্টেশনে নেমে একটা গাড়ি ভাড়া করে নিতে পারেন, প্রায় আড়াই ঘণ্টা লাগবে। অথবা রুশিকুল্যার কাছাকাছি স্টেশন “গঞ্জাম” স্টেশনে নেমে অটো করেও চলে যেতে পারেন একেবারে কম খরচে এই নতুন অচেনা সৈকতে।
থাকার জায়গাঃ
আরেকটু এগিয়ে গিয়ে ছত্রপুরে থাকতে পারেন। যদিও ওখানে হাতে গোনা দু একটি মিডিয়াম রেঞ্জের হোটেল আছে, তবুও কম খরচে ভালোই থাকা ও খাওয়া জুটে যাবে। আর ছত্রপুর থেকে আরেকটু দূরে ব্রহ্মপুরে থাকার জন্য খুব ভালো কয়েকটি হোটেল পাবেন। যেসব হোটেলে একটু কম খরচে থাকতে পারেন তাদের নাম নীচে দেওয়া হল:
- Hotel Lisa Galaxy
ব্রহ্মপুর (Brahmapur, Odisa) - Hotel Asha Pride
ব্রহ্মপুর (Brahmapur, Odisa)
এছাড়াও অনেক হোটেল পেয়ে যাবেন অনলাইনে।
Be the first to comment