ফুলবেঞ্চ আসার আগে এবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন। প্রতি শুক্রবার আইশৃঙ্খলা নিয়ে রিপোট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের। বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, জেলাশাসক (DM) ও পুলিস সুপারদের (SP) সঙ্গে বৈঠক বসবে কমিশনের ফুলবেঞ্চ।
আগামী বুধবার, ২০ জানুয়ারি রাজ্যে আসছেন নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা–সহ নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। শুক্রবার তাঁদের ফিরে যাওয়ার কথা।উল্লেখ্য, বাংলার পাশাপাশি অসমেও নির্বাচন রয়েছে। বুধবার পশ্চিমবঙ্গে আসার আগে তাঁরা যাবেন অসমে। সেখান থেকে তাঁরা বাংলায় আসবেন।
অতি সম্প্রতি বঙ্গ সফরে এসে সমস্ত রিপোর্ট নিয়ে গিয়েছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি জানিয়ে দিয়েছেন যে রাজ্যে ১০০ শতাংশ শান্তি ফিরলে তবেই হবে ভোট। পাশাপাশি উপ নির্বাচন কমিশনার কমিশনারের হুঁশিয়ারি, কর্তব্যে কোনও গাফিলতি থাকলে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের মতো সরকারি আধিকারিকদের সরাসরি অপসারণ করা হবে। শো–কজের সুযোগও দেওয়া হবে না।
প্রশাসনিক মহলের মতে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বা ভোট পরিচালনায় যুক্ত কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে কমিশন আগে তাঁকে শোকজ করত। যথাযথ উত্তর না পেলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নিত করত কমিশন। কিন্তু এবাররের নির্বাচনের আগে প্রত্যেকের উপরে নজর এতটাই জোরালো যে, ন্যূনতম গাফিলতি হলে কমিশন সরাসরি সংশ্লিষ্ট অফিসারকে শাস্তি দিতে পারে বলে একপ্রকার বুঝিয়ে দিয়েছেন সুদীপ জৈন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন সংগঠিত করতে চাইছে কমিশন। কোভিড আবহে কমিশনের সিদ্ধান্ত, এ বার ভোটকেন্দ্রে সর্বাধিক ১০৫০ জন ভোটার থাকবেন। রাজ্যে বুথ রয়েছে ৭৮ হাজারের কিছু বেশি। প্রশাসনিক সূত্রের ধারণা, নতুন বিধিতে কমবেশি ২৯ হাজার বুথ বাড়বে।
Be the first to comment