চিরন্তন ব্যানার্জি :- শুক্রবার কার্গিল বিজয় দিবসের ২৫ তম বছর পূর্তির দিনই পাকিস্তানকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদী। আজ সকালে লাদাখের দ্রাসে পৌঁছে, কার্গিল যুদ্ধ স্মারকে বীর শহীদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। তারপর এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। পাশাপাশি বিরোধীদেরও কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি তিনি।
এদিন তিনি বলেন, অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে বিরোধীরা যা করছে তা রাজনীতি ছাড়া অন্য কিছু নয়। এরাই চেয়েছিল ভারতীয় বিমানবাহিনীতে আধুনিক যুদ্ধবিমান যাতে না আসে। আবার এরাই সেই লোক যারা চেয়েছিল তেজস যুদ্ধবিমান বাতিল করতে। অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীতে তরুণ রক্ত সঞ্চালিত করাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। যাতে সেনাবাহিনী ধারাবাহিকভাবে তরুণ তাজা রক্তে ভরপুর থাকে। যে কোনও সময় যুদ্ধের জন্য বাহিনীকে প্রস্তুত রাখাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনক হল কিছু মানুষ একে নিয়ে রাজনীতি করে দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিতে চাইছেন। কিছু লোক মিথ্যার রাজনীতি করে চলেছেন, তাঁদের ব্যক্তিগত লাভের স্বার্থে। অথচ এরাই তাদের আমলে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করে সেনাবাহিনীকে দুর্বল করেছিল।
এদিন তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ওরা ভাবছে কেন্দ্র সেনাবাহিনীর পেনশনের টাকা বাঁচাতে অগ্নিপথ প্রকল্প চালু করেছে। এই ভ্রান্ত কথাবার্তা ওরা প্রচার করে বেড়াচ্ছে। আমি এমন লোকদের জিজ্ঞাসা করতে চাই, আজকের নিয়োগকারীদের জন্য পেনশনের প্রশ্ন ৩০ বছর পরে উঠবে। সরকার কেন এখনই সিদ্ধান্ত নেবে?’’
মোদীর মন্তব্যের পরে পালটা কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরম বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলছেন যে আমরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছি। তিনি ৩০ বছর পরে কী হবে, তা নিয়ে কথা বলছেন। এই অগ্নিবীরদের চার বছর পরে কী হবে তা নিয়ে তাঁর কথা বলা উচিত।’’
এদিন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সেনা পূর্ণ শক্তিতে সন্ত্রাসবাদকে খতম করে দেবে। অতীতে পাকিস্তান অসংখ্যবার জঘণ্য প্রচেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে। ওদের আজও শিক্ষা হয়নি। মহড়া যুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদীদের মদত দিয়ে ওরা এখনও সেই চেষ্টা ছাড়েনি।”
Be the first to comment