কেন্দ্রীয় বাজেটে বাংলাকে বঞ্চনা নিয়ে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

চিরন্তন ব্যানার্জি :- তৃতীয় মোদী সরকারের পূর্ণাঙ্গ বাজেট নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় সরব হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেটকে গরিব বিরোধী, জনগণ বিরোধী, রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বলে চিহ্নিত করলেন। এদিন তিনি ক্ষোভ উগরে বলেন, ‘দেড় ঘন্টার বাজেট বক্তৃত্বায় মাত্র ১ বার শোনা গেল পশ্চিমবঙ্গের নাম। গোটা বাজেটে আর কিছুই শোনা গেল না বাংলার জন্য। বাজেটে বাংলাকে কিছু নাই দিতে পারে, কিন্তু অপমান করলে তার জবাব মানুষ দেবে। এই বাজেট দিশাহীন, তাই কোনও আলো দেখা গেল না। এই বাজেট সাধারণ মানুষের বাজেট নয়। গরীবের বাজেট নয়। পলিটিক্যাল বায়েসড বাজেট। একটা পার্টিকে খুশি করতে এই বাজেট। আমি কোনও আলো দেখতে পারছি না বাজেটে। শুধুই অন্ধকার। বাংলাকে হিংসা করে তাই ব্রাত্য করে বাংলাকে। কিন্তু বাকি রাজ্যগুলো?’ এদিন রাজ্য বিধানসভায় নিজের ঘরে বসে বলেন, ‘বিহারকে অন্ধ্রপ্রদেশকে দিক, তা নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কাউকে বঞ্চিত করে অন্য কাউকে দেওয়া যায় না। বাংলা কারও দয়া চায় না। কিন্তু বাংলার সম্মান বিঘ্নিত হলে বাংলার মানুষ সেটা মেনে নেবে না।’ এদিনের বাজেটে বন্যা নিয়ে বিহার ও অসমেএর জন্য ঢালাও বরাদ্দ করা হয়, তাই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলায় এত প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়, তাকে কোনও টাকা দিল না। আশপাশের সব রাজ্যকে দিল। বাংলা একাই ১০০। ভোটের মঞ্চে দেখা হবে। বাংলায় ১১-সাড়ে ১১ কোটি মানুষ। প্রচুর ভোট, সেটা মনে রাখবেন।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ করেন, ‘১০০ দিনের কাজের কোনও খোঁজ নেই। তিন কোটি বাড়ি যে দেওয়া হবে, কাকে দেওয়া হবে? এদিন উত্তরবঙ্গের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘‘ভোটের সময়ে ওরা বড় বড় কথা বলেছিল। ভোটের পর দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াংকে ভুলে যায়। এটাই ওদের ধরন। দার্জিলিং যেন এই বাজেটকে মনে রাখে। সিকিম পাক, কিন্তু দার্জিলিংকে কেন বঞ্চনা?’’ এদিনের বাজেটে ১এক লক্ষ ছাত্রকে টাকা দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাত্র ১ লক্ষ ছাত্রকে টাকা দেবে বলছে। ১৩০ কোটির দেশে তো সেটা কিছুই নয়। আমরা তো সবাইকে দিয়েছি, ১০ লক্ষ টাকা করে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। এদিন তিনি বলেন, আমাদের ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা এখনও পাওনা কেন্দ্রের থেকে। এক পয়সাও দেয়নি। উল্টে বঞ্চিত করছে বাংলাকে। বাজেটে চাকরির কোনো দিশা না থাকাকেও কেন্দ্র করে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*