কেষ্টর সংগঠনই বিজেপির মাথাব্যথা

Spread the love

২০২১ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনই লক্ষ্য রাজ্যের সব রাজনৈতিক শিবিরের। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে দিল্লীর বর্তমান সরকারও। সেই বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে লাল মাটির জেলা, বীরভূমে রাজনৈতিক কৌশল কাজে লাগিয়ে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে ময়দানে নেমেছে বিরোধী দল গুলো। এখন কোভিড-১৯ জেড়়ে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে লক-ডাউন চলার পর আন-লক পর্ব চালু হতেই বিদ্যুৎ বিল, শ্রমিকদের অধিকার, রেশন সহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে একাধিক কর্মসূচী গ্রহন করেছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। পাশাপাশি পিছিয়ে নেই বিজেপিও। বিভিন্ন ইস্যুকে সামনে রেখে একাধিক কর্মসূচী নিয়ে বিরোধী সিপিআইএম- কংগ্রেস, বিজেপি নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি যেমন বাড়ানোর চেষ্টায় মগ্ন তেমনি নিজেরাও নিজেদের রাজনৈতিক জমি কতটা দখলে আনতে পারছেন সে নিয়েও চর্চা করছেন। তবুও বিরোধী শিবিরের কপালে ভাঁজ ফেলেছে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাজনৈতিক নেতা তৃনমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের সাংগঠনিক শক্তি। বীরভূমের ১১ টি বিধানসভা ক্ষেত্র ছাড়াও পূূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম তিনটি বিধানসভা ক্ষেত্রের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। বিধানসভা থেকে পৌরসভার সব ওর্য়াড ও গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি বুথ ও বুথের নেতাদের নাম তার একরকম মুখস্ত। বীরভূমের তৃনমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের এহেন সাংগঠনিক শক্তিই মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপি ও বাম- কংগ্রেস জোটের কাছে। সিপিআইএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর এক নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে স্বীকার করে নিয়েই বলেন, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে আমাদের ব্যাপক পরাজয়ের পর সাধারন মানুষ যেমন আমাদের থেকে দূরে সড়ে যায় তেমনি আমরাও আমাদের পুরনো সংগঠন ধরে রাখার চেষ্টা করি নি। এটা আমাদের ব্যার্থতা। সেই সময়ে অনুব্রত বাবু তার রাজনৈতিক শক্তিবৃদ্ধি করতে সংগঠনকে সাজিয়ে নিয়েছেন। এবং সব এলাকার সাংগঠনিক শক্তির পর্যালোচনা করেছেন লাগাতর। ২০২১ শে অনুব্রতর সাংগঠনিক শক্তির জেরেই তার দল ভালো জায়গায় থাকবে। তবে, আমরাও একাধিক কর্মসূচী নিয়ে সংগঠন সাজাচ্ছি। আমরা হতাশ নই। আশা করছি আগের অবস্হার তুলনায় উন্নতি হবে।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনটা এরাজ্যে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিজেপি যেমন সর্বশক্তিদিয়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া তেমনি তৃনমূলও ক্ষমতা হারাতে চায় না। রাজ্যের মধ্যে বীরভূম জেলার দিকে নজর সব রাজনৈতিক দলেরই। বীরভূমে দলের সাংগঠনিক শক্তি মজবুত করতে বীরভূমের মাটিতে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে অমিত শাহ। নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহরা বীরভূমে এলেও বিজেপির রাজনৈতিক শক্তি যেমন সেভাবে বাড়াতে পারেনি স্হানীয় নেতৃত্ব তেমনি বাড়েনি সাংগঠনিক শক্তিও। তারপরেও মঙ্গলবার দুই বিজেপির নেতাকে বহিস্কার করতে হয়েছে দলকে। পক্ষান্তরে অনুব্রতর সংগঠন মজবুত থাকায় চিন্তা বাড়াচ্ছে বিরোধী শিবিরের।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*