রোজদিন ডেস্ক :- অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। জ্বলছে চারিদিক। এই রকম অবস্থার দিকে বিশেষ নজর রাখছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারও। এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লির সঙ্গে কথা হয়েছে নবান্নর। রাজ্যের কেউ ওদেশে আটকে রয়েছেন কিনা, তা দেখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জিও জানিয়েছে রাজ্য। পাশাপাশি দিল্লিতে রাজ্যের রেসিডেন্সিয়াল কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগে থাকার।
যা পরিস্থিতি বাংলাদেশের তাতে শনিবার ভোর থেকে গোটা বাংলাদেশে কার্ফু জারি করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের সামনে সেনা মোতায়েন হয়েছে। বলা হয়েছে, সেনা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও সাহায্য করবে। শহরগুলিতে জায়গায় জায়গায় সেনা বাহিনী অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করেছে।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনকারী এবং তাদের সমর্থক নেতাদের গ্রেফতার করা শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার ভোর রাতে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গণ অধিকার পরিষদ নামে একটি দলের নেতা নুরুল হক নূরকেও ভোর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তাঁর পরিবার দাবি করেছে। পরিবারের অভিযোগ, দরজা ভেঙে ঢুকে নূরকে তাঁর ঢাকার হাতিরঝিল এলাকার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ ও র্যাব। বাহিনীর লোকেরা পরিবারের সকলের মোবাইল সেট এবং সিসি ক্যামেরা নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ থেকে ৩০০-রও বেশি ভারতীয় পড়ুয়া শুক্রবার ফিরেও এসেছেন দেশে। কোচবিহারের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মেখলিগঞ্জ গেট দিয়ে বাংলাদেশের রংপুর মেডিক্যাল কলেজের ৩৩ জন ছাত্রছাত্রী ভারতে প্রবেশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে ছ’জন ভারতীয়। ১৮ জন ভুটানের এবং নেপালের ৯ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছেন।
Be the first to comment