চতুর্থ দফা ভোট পর্বে উঠে আসছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা,উত্তপ্ত একাধিক কেন্দ্র

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- চতুর্থ দফায় লোকসভা নির্বাচনের দিন বাংলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে এসেছে। সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়েছে একাধিক কেন্দ্র। রক্তপাতের ঘটনা ঘটলো কৃ্ষ্ণনগর লোকসভার দুই জায়গায়। তেহট্টের থানারপাড়ায় তৃণমূলের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে এক সিপিএম কর্মীর মাথা ফেটে যায়। নাকাশিপাড়ায় তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএমের হাতাহাতিতেও মাথা ফাটে আরেক সিপিএম কর্মীর।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন ভোট শুরু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে তেহট্টে উত্তেজনা ছড়ায়। থানারপাড়া থানা এলাকায় অভিযোগ, নারায়ণপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬ নম্বর বুথের সিপিএমের পোলিং এজেন্টকে বসতে বাধা দেয় তৃণমূল। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় থানারপাড়া থানার পুলিশ।
অন্যদিকে, কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে অভিযোগ, কালীগঞ্জ থানা এলাকার আড়ারবেঘিয়া গ্রামের ৩ নম্বর বুথের কাছে ক্যাম্পে বসতে বাধা দেওয়া হয় সিপিএম কর্মীদের। তাই নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
এদিকে মুর্শিদাবাদের সালার থানার ১২৩ নং বুথে কংগ্রেস এজেন্ট কে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমুলের বিরূদ্ধে। বহরমপুরের বড়ঞায় কংগ্রেস এজেন্ট কে মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে।একইসঙ্গে বহরমপুরের বেলডাঙার মির্জাপুরে কংগ্রেস এজেন্টকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় অবৈধ জমায়েত সরাতে তৎপর হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। লাঠি উঁচিয়ে জমায়েত সরায় জওয়ানরা
এপ্রসঙ্গে বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘বেলডাঙা, বড়ঞা-সহ তিন-চারটি জায়গা থেকে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি। প্রতি মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন সক্রিয় ছিল। সমস্ত সমস্যা তাড়াতাড়ি মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা।’’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*