রোজদিন ডেস্ক :- শুক্রবার বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে নিজের ভাষণের শুরুটা নিজেকে দিয়ে শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোনও রাজনৈতিক কথা না বলে নিজের স্বপ্নের কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। জানালেন, তিনি নিজের জন্য বাঁচতে চান না, দেশবাসীর সেবা করতেই জন্মেছেন।
রাজ্যে দু’দফার ভোট মিটে যাওয়ার পর তৃতীয় দফা ভোটের আগে বাংলায় ফের প্রচারে এসেছেন মোদী। কিন্তু শুক্রবার বর্ধমানে তাঁর প্রথম জনসভা থেকে শুরুতেই কোনও রাজনৈতিক বক্তৃতা দিলেন না তিনি। বরং দেশের জনতাকে ঈশ্বরের আসনে বসিয়ে বললেন, ”ঈশ্বররূপী জনতার আশীর্বাদ আমার মতো গোটা বিশ্বে কেউ পায়নি। বছর বছর এই আশীর্বাদ বেড়ে চলুক।” মোদী বলেন, দু’বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলে ইতিহাসের পাতায় তো নাম উঠেই যায়। কিন্তু তিনি এর পরেও আরাম করবেন না। কেন, সেটাও নিজেই জানান তিনি।
জনসভায় আসা সকলের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ”আমি ফুর্তি করার জন্য জন্মাই নি। আমি নিজের জন্য বাঁচতে চাই না, আপনাদের সেবা করার সংকল্প নিয়ে ভারত মাতার পায়ে মাথা পেতে ১৪০ কোটি দেশবাসীর সেবা করতে চাই।” দেশ তথা বাংলার মা-বোনেদের উদ্দেশ্য মোদী বলেন, ”আমার কাছে কী আছে? আগে-পিছে কেউ নেই। আমার জন্য জনতাই পরিবার। দেশের সব পরিবারের সন্তান আমার সন্তান। নিজের কেউ নেই, যাঁদের জন্য কিছু করব।” এক্ষেত্রে নিজের স্বপ্ন কী, সেটাও খোলসা করে দেন নরেন্দ্র মোদী।
তিনি আরো বলেন , বাংলায় দুর্নীতি কাণ্ডে চাকরিহারাদের আইনি সাহায্য দিয়ে পাশে থাকবেন। যেসমস্ত যোগ্য শিক্ষক- শিক্ষিকা এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ড তে নিজের চাকরি হারিয়েছেন তাদের সম্পূর্ণ আইনি সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এদিন উঠে এসেছে গরিবি প্রসঙ্গ। মোদী দাবি করেছেন, তিনি ছোট থেকেই গরিবি দেখে বড় হয়েছেন। তাই তাঁদের কষ্টটা জানেন। তিনি বলেন, ”আমার একটা স্বপ্ন, দেশবাসীর সকলের স্বপ্ন পূরণ করা। আমি শুধু দেশের মানুষের হয়ে কাজ করতে চাই, তাঁদের সন্তানদের জন্য কাজ করতে চাই।
এই সভা থেকে দেশের গরিবি সমস্যা পুরোপুরি মেটানোর বার্তা দিয়েছেন মোদী।
আগামী ৫ বছর আরও বেশি কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোদী বলেছেন, গত ১০ বছরে যে কাজ হয়েছে তাতে গরিবি সমস্যা অনেকটা মিটেছে। অন্তত ২৫ কোটি মানুষকে গরিবি সমস্যা থেকে বের করতে তিনি আরও পরিশ্রম করবেন। প্রত্যেক ভারতবাসীর আয় বৃদ্ধি হবে, এমন প্রতিশ্রুতিও বর্ধমানের সভা থেকে দিয়েছেন মোদী। তিনি বলেন, “বিজেপির হাত ধরে দেশের বিকাশ হলে সকলের আয় বাড়বে। তাতে বাংলারও উপকার হবে। “
Be the first to comment