ভারতের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি. চিদম্বরমের বাড়ির বাইরে সিবিআই-এর নোটিশ। প্রসঙ্গত, আগাম জামিন মামলায় দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতিরা মঙ্গলবার কড়া মন্তব্য করে বলেন, দেখে তো মনে হচ্ছে, আবেদনকারীই এই দুর্নীতির ঘটনার কিং পিন! দিল্লি হাইকোর্টের থেকেও বলা হয় যে, আর্থিক দুর্নীতি কঠোর হাতে দমন করতে হবে। আবেদনকারী সংসদের সদস্য এবং আইনজীবী। এ ধরনের বিপুল আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় তদন্তকারীদের হাত বেঁধে দেওয়া ঠিক নয়।
এদিকে গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় দিল্লি হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিকেলেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাঁর হয়ে সওয়াল করার জন্য পাশে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের দুঁদে আইনজীবী সলমন খুরশিদ ও অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এ দিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এখনই বিষয়টি শুনতে হবে এমন তাড়াহুড়োর কারণ নেই, কাল শুনলেও হবে। তাই আজ, অর্থাৎ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের এজলাসে শুনানি হবে।
চিদম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তাঁর প্রভাব খাটিয়েই কার্তি চিদম্বরম আইএনএক্স মিডিয়াকে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকা পাওয়ার সুযোগ করে দেন। এ ছাড়াও এয়ারসেল-ম্যাক্সিস সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি মামলাতেও বারবার চিদম্বরম ও কার্তির নাম উঠেছে। যদিও গোড়া থেকেই চিদম্বরম দাবি করেছেন, কোনও অনিয়ম তিনি করেননি। এমনকি এই মামলায় এফআইআর-এও তাঁর নাম নেই। তাঁর বক্তব্য, রাজনৈতিক কারণেই বিজেপি পরিচালিত সরকার তাঁকে টার্গেট করছে।
Be the first to comment