এখনই সচেতন না হলে ভবিষ্যতে কলকাতাতেও জলের জন্য হাহাকার পড়বেঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

ভিডিও সৌজন্যে- (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক)

জল সংরক্ষণের জন্য সাধারণ নাগরিকদের উদ্যোগী হওয়ার আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । পাশাপাশি, কীভাবে জল সংরক্ষণ করা যাবে তার উপায়ও বললেন তিনি। প্রসঙ্গত, দেশের একাধিক জায়গায় প্রবল জলসংকট দেখা দিয়েছে । এখনই সচেতন না হলে ভবিষ্যতে কলকাতাতেও জলের জন্য হাহাকার পড়বে। তাই জল সচেতনতা বাড়াতে জোড়াসাঁকো থেকে গান্ধি মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত পদযাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পদযাত্রা শেষে মুখ্যমন্ত্রী মেয়ো রোডে বক্তব্য রাখেন। চেন্নাইয়ের জলসংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জল সংরক্ষণের আর্জি জানান। বলেন, অনেকে বলছেন, ২০ বছর পর পেট্রোলের থেকে জলের দাম বেশি হয়ে যাবে। তাই যতটুকু জল প্রয়োজন ততটুকু ব্যবহার করব। কখন কলকাতায় জলের সংকট দেখা দেবে সেজন্য অপেক্ষা না করে আগেভাগেই জল সংরক্ষণে জোর দিতে বলেন । শরীর খারাপের সঙ্গে তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে আগে থেকে তৈরি থাকতে হবে ।

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, জল ধরো, জল ভরো কর্মসূচি দীর্ঘদিন ধরে চলছে। ২০০৮ সালে শুরু করেছি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০১১ সালে তৃণমূলের ইস্তাহারে ৫০ হাজার পুকুর কাটার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো। ক্ষমতায় এসে পরবর্তী ৫ বছরে দেড় লাখ পুকুর কাটা হয়েছে। আর এখন সংখ্যাটা বেড়ে তিন লাখ হয়েছে। এর পাশাপাশি, চেক ড্যামে জলও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কীভাবে জল সংরক্ষণ করা যায় তা নিয়েও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ধরুন আমার একটি নতুন বাড়ি হচ্ছে। তার উপর আমি যদি একটি নতুন পার্ক বানাতে পারি, একটা সুইমিং পুল বানাতে পারি তাহলে আমি জলও কিছুটা ধরে রাখতে পারি। যেটাকে আমরা রেন ওয়াটার হারভেস্ট বলি। বিন্দু বিন্দু জলকণা দিয়ে সমুদ্র তৈরি হয়।

এদিন নিজের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, আমি আজ স্নান করতে গিয়ে রোজ কতটা জল লাগে। মুখ্যমন্ত্রী চান, জল সংরক্ষণের এই দৃষ্টান্ত বাংলা থেকেই শুরু হোক। তিনি বলেন, বাংলা আজ যা ভাবে, সারা পৃথিবী কাল তা ভাবে। আমরা শুরু করে দিলাম, শেষটা অন্যরা করুক। এবার থেকে প্রতি বছর ১২ জুলাই জল ভরো দিবস পালন হবে।

শুনুন কী বলছেন মমতা?

https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/videos/2426082914142272/

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*