সুপার সাইক্লোন উমফানের ধাক্কায় বিপর্যস্ত জনজীবন। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার গ্রামাঞ্চল ও শহরাঞ্চলে জল নেই, বিদ্যুৎ নেই। শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় জল ও বিদ্যুতের দাবিতে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, অবরোধ।
টালিগঞ্জের কুদঘাটে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, পানীয় জলের অভাবনীয় সঙ্কট তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সারাদিনের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জল সরবরাহ করেনি কর্পোরেশন। বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে দেন স্থানীয়রা। মোটরবাইক ও অন্যান্য গাড়িতে যাঁরা যাচ্ছিলেন তাঁরা আটকে পড়েন। এরপর অবরোধকারীদের সঙ্গে তুমুল বচসা শুরু হয় তাঁদের। হাতাহাতিও বেঁধে যায়। অশোক নগরেও অবরোধ করেন স্থানীয়রা।
কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ কার্যত বিপর্যস্ত। বহু জায়গায় রাস্তাজুড়ে গাছ পড়ে রয়েছে। কাশীপুর, বেলগাছিয়া, পাইকপাড়া, হাতিবাগান থেকে যাদবপুর, গলফগ্রিন, রাসবিহারী, চেতলা, বাঁশদ্রোনী– সর্বত্রই ছবিটা এক। কলকাতা করপোরেশনের প্রশাসক ও রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, অভাবনীয় বিপর্যয় হয়েছে কলকাতায়। পুরসভার কর্মীরা প্রাণপাত পরিশ্রম করছেন। যত দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায় তার চেষ্টা চলছে।
একই অবস্থা হাওড়াতেও। হাওড়া শহরে বিস্তীর্ন এলাকায় পানীয় জল পরিষেবা বন্ধ। দুর্ভোগে পুর এলাকার বাসিন্দারা। একে বিভিন্ন এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ আসেনি। তার উপর জল না পেয়ে সমস্যা আরও বেড়েছে। হাওড়া কর্পোরেশন সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টিতে জল মগ্ন হয়ে গিয়েছে পদ্মপুকুর জল প্রকল্প। জল সরবরাহের বিভিন্ন মেশিন জলে ডুবে গিয়েছে। জমা জল সরিয়ে সেগুলো মেরামতির কাজ চলছে। আগামীকাল, শনিবার সন্ধের আগে পানীয় জল পাওয়া যাবে না। নাগরিকদের কিছুটা সুরাহা দিতে জলের গাড়ি পাঠানোর বন্দোবস্ত হচ্ছে বলে পুর নিগমের তরফে বলা হয়েছে।
Be the first to comment