জেনে নিন ইলিশ মাছের পুষ্টিগুণ ও উপকারীতা

Spread the love

আপনি জানেন কি যে ইলিশ মাছ যত সুস্বাদু, ততটাই পুষ্টিকর? বিশেষজ্ঞরা ইলিশের নানাবিধ রোগ প্রতিরোধ গুণের কথা জানাচ্ছেন। ইলিশ মাছ কিন্ত স্বাদে যেমন অতুলনীয়, তেমনি তার পুষ্টিগুণও কিন্ত কম কিছু নয়৷ তবে কী ধরনের ইলিশ খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করছে, যে সেই ইলিশ থেকে আপনি কতটা পুষ্টি পাচ্ছেন৷

আমরা সাধারণত দুই ধরনের ইলিশ খেয়ে থাকি৷ এক মিষ্টি জলের ইলিশ৷ অন্যটা হলো সমুদ্রের ইলিশ৷ মাথায় রাখবেন এদের মধ্যে পুষ্টিকর ইলিশ কিন্ত একমাত্র মিষ্টি জলের ইলিশ৷ সামুদ্রিক ইলিশ কিন্ত ততটা পুষ্টিকর নয়৷ এবার ইলিশ মাছের পুষ্টিগুণগুলি একে একে জেনে নিন৷ আমরা জানি ইলিশ মাছে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি৷ সেটা সত্যি৷ তবে সেগুলি হলো ভালো ফ্যাট৷ অর্থাৎ ইলিশ মাছে পলি আনস্যাচুরেটেড এবং মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণই বেশি৷ ভালো ফ্যাট আমাদের শরীরের জন্য সবসময়ই উপকারী৷ তবে এটাও মাথায় রাখবেন যে মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছই কিন্ত্ত আসলে সবচেয়ে পুষ্টিকর৷ মোটামুটি সাতশো থেকে এক কেজির ওজনের ইলিশ মাছের মধ্যেই একমাত্র পলি ও মনো আন-স্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়৷ তার চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ মাছ হলেই জানবেন সেটিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি৷ সেটা আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর৷ আবার আমরা অনেকেই তার কম ওজনের ইলিশ মাছও খাই৷ খোকা ইলিশও কিন্ত ততটা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ নয়৷ বিশেষ করে এই মাছে একেবারেই প্রোটিন নেই৷

তাই মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছ খান৷ কারণ এই মাছে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, এবং জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়ামের মতো খনিজ৷ ১০০ গ্রাম ইলিশ মাছে রয়েছে ২২.৩ শতাংশ প্রোটিন৷ জিঙ্ক ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে খুব ভালো৷ সেলেনিয়াম আবার অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে৷ এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম আর আয়রনের পুষ্টিগুণও৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*