তন্ময় ভট্টাচার্যকে শো-কজ করল আলিমুদ্দিন

Spread the love

বিধানসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর দলের শীর্য রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। যার জেরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে সরব হয়েছে দলের একাংশ।এরপরই দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য বুধবার প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যকে শো-কজ করল সিপিএম নেতৃত্ব৷

রবিবার বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনার পর দেখা যায় রাজ্যে মাত্র ১টি আসন জিতেছে সংযুক্ত মোর্চা। বাম বা কংগ্রেস কোনও আসনই পায়নি। একটি মাত্র আসন পেয়েছে জোটসঙ্গী আইএসএফ৷ আর তারপরই হারের জন্য দলীয় নেতৃত্বকে সরাসরি কাঠগড়ায় তোলেন তন্ময়বাবু। তিনি বলেন, ‘দলীয় নেতৃত্বের একাংশ বলে আমরা ভোটে হারজিত নিয়ে চিন্তিত নই। আমরা রাস্তায় আছি। যে নেতারা রাস্তায় থাকার কথা বলতেন তাদের হাতে একটা ফুটো বাটি ধরিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে জনতা।’

তন্ময়বাবুর দাবি, দলের কয়েকজন পলিটব্যুরো সদস্য ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো করে দল পরিচালনা করেন। তাঁরা মানুষের চাহিদার কথা না জেনেই তাদের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন। এভাবেই কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোট চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে দলীয় কর্মীদের ওপর।

দলের রাজ্য নেতৃত্বের অন্যতম তন্ময় ভট্টাচার্য নিজেও। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তিনি। ২০১৬-র নির্বাচনে উত্তর দমদম কেন্দ্রে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মতো হেভিওয়েটকে হারিয়েছিলেন তন্ময়বাবু। এবার তাঁর কাছেই হারতে হয়েছে ৷ রবিবার তিনি বলেছেন, ‘এই হারের দায় আমার বা অন্য কোনও বাম প্রার্থীর নয়। সার্বিকভাবে বামেদের প্রত্যাখ্যান করেছে মানুষ। তাই এই বিপর্যয়ের দায় নিতে হবে দলের শীর্ষনেতৃত্বকে। লোকসভা নির্বাচনে যারা দলকে শূন্য করেছে তারা কোনও দায় নেয়নি। এবার বিধানসভাতেও দল শূন্য হয়েছে। এবার একথা – সেকথা বলে দায়িত্ব এড়ালে চলবে না।’ তন্ময়ের মতে, ১৯৪৬ সালের পর এই প্রথম বামশূন্য বিধানসভা গঠিত হচ্ছে রাজ্যে। কংগ্রেস-শূন্য বিধানসভা গঠিত হচ্ছে। গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় সম্ভবত ২ শতাংশ কম ভোট বামেরা পেয়েছে।

তন্ময়বাবুর আরও দাবি, যে দল বলে ২১,০০০ মাসিক বেতনের নীচে সংসার চালানো যায় না তারা নিজের পার্টির সর্বক্ষণের কর্মীদের ৫০০০ টাকা ভাতা দেয় কী করে? সর্বক্ষণের কর্মীদের তো অন্য কোনও উপার্জন নেই। তাহলে এই সামান্য টাকায় তারা সংসার চালাবে কী করে? তন্ময়বাবু বলেন, ‘শৃঙ্খলাপরায়নতার নামে এসব প্রশ্ন দলীয় নেতৃত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না’।

ইতিমধ্যেই দমদম উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের পরাজিত সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্ব। উত্তর ২৪ পরগনার সিপিএম নেতৃত্ব বিবৃতি দিয়ে বলেছে, তন্ময় ভট্টাচার্য দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য রেখেছিলেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। এই বক্তব্যের সঙ্গে জেলা পার্টির কোনও সম্পর্ক নেই ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*