রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্যের দলের প্রথম ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে পদোন্নতি হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্য যুব তৃণমূল সভাপতি থেকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলেন তিনি। রাজ্য যুব তৃণমূল সভানেত্রী হচ্ছেন সায়নী ঘোষ। সূত্রের খবর, ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনেই এই ইস্তফা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই অভিষেককে দলের বড়সড় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
শনিবার তৃণমূল ভবনে দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অভিষেকের পদোন্নতি প্রায় পাকা ছিল। প্রশ্ন ছিল কী পদ দেওয়া হতে পারে তাঁকে। বৈঠকে অভিষেককে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর রাজ্য যুব তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিষেক।
এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় নেতৃত্বকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, কোনও অবস্থায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়ানো চলবে না। মানুষের কাছাকাছি থাকতে লালবাতি ওয়ালা গাড়ির ব্যবহার কমাতে হবে। সরকার ও দলের সমন্বয় বাড়াতে হবে। সঙ্গে মনে রাখতে হবে দল আর সরকার আলাদা অস্তিত্ব।
এদিনের বৈঠকে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দেয়, এর পর থেকে মন্ত্রীরা আর জেলা সভাপতি থাকতে পারবেন না। মন্ত্রীদের গাড়ির লালবাতি যত্রতত্র ব্যবহার যাবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা ইচ্ছে পোস্ট করা যাবে না। এমনকী, ফেসবুকে লাইভ করে দল সম্পর্কে যা ইচ্ছে বলা যাবে না। দলীয় সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে ফেসবুক লাইভ করা নিয়ে মদন মিত্রকে সাবধান করে দল। তাঁকে সংযত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, সদয় সমাপ্ত হওয়া ভোটের আগেই সায়নী যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। প্রার্থী হন আসানসোল দক্ষিণে। তবে ভোটে হেরেছেন তিনি।
Be the first to comment