লকডাউনের মধ্যে প্রথম প্রশাসনিক বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আগামী শুক্রবার প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে রাজারহাট কনভেনশন সেন্টারে বৈঠক করবেন। আর সোমবার ১৩ জুলাই নেতাজি ইন্ডোরে স্টেডিয়ামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা। দুই বৈঠকেই পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হচ্ছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, উম্পুনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে। এই দুই জেলার সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি সাহায্য ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে সুষ্ঠু ভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে বারবারই তিনি বার্তা দিয়েছেন যে উম্পুনে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সাহায্য পাওয়া নিয়ে কোনও আশঙ্কার কারণ নেই। কেউ বঞ্চিত হবেন না।
তবু ত্রাণ-দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভের আগুনে কিন্তু রাশ পড়ছে না। মঙ্গলবারও রাজ্যের নানা জায়গায় এ রকম বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘটনাটি হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়, গাইঘাটার ধর্মপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত অফিসে থাকা সাইকেল এবং বাইকে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইটের আঘাতে আহত হন গাইঘাটা থানার এক মহিলা পুলিশকর্মী।
তৃণমূলকে অবশ্য এত সহজে ছাড় দিতে রাজি নয় বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ‘এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কাদের দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকা বিডিও অফিসে টাঙানো হয়নি। উম্পুনের ক্ষতিপূরণের অর্থ নিয়ে যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের সকলের নামে এফআইআর করা হোক।’ এর পাল্টা হিসেবে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন। আবার বলছি, তাঁদের স্বপ্ন সফল হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বাংলার মানুষের হৃদয়ে লেখা আছে।’
Be the first to comment