দেড় মাসের মধ্যে ফের রাঙাপানিতে লাইনচ্যুত মালগাড়ি, ‘আমরা অত্যন্ত চিন্তিত’ প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী

Spread the love

চিরন্তন ব্যানার্জি :- দেড় মাসের মধ্যে ফের রেল দুর্ঘটনা ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানিতে। এবার মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার দেড় মাসের মধ্যে এবার একটি মালগাড়ি লাইনচ্যুত হল। তবে এই দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর নেই। কিন্তু আপাতত ওউ লাইনে ট্রেন পরিষেবা আপাতত বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে তেলবোঝাই একটি মালগাড়ি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের অদূরে রাঙাপানি এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। দুটি ওয়াগন রেললাইন থেকে নীচে নেমে যায়। বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। হতাহতেরও খবর নেই। কিন্তু দেড় মাস আগে ওই জায়গায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা এবং মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডে হাওড়া-মুম্বই মেলের দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে এই বেলাইনের ঘটনা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। রেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে মালগাড়িটিকে সরিয়ে রেললাইন সারানোর কাজে হাত লাগানো হয়েছে। তবে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুন আগরতলা থেকে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি স্টেশনের কাছে। আচমকা ওই ট্রেনটিকে পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি এসে ধাক্কা মারে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চারটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। ওই ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ছিলেন মালগাড়ির চালকও। আহত হন ৪১ জনের বেশি।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৪টে নাগাদ ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া থেকে মুম্বইগামী হাওড়া-সিএসএমটি এক্সপ্রেস। বেলাইন হয়ে যায় ট্রেনের অন্তত ১৮টি কামরা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ২০ জন যাত্রী। আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবার, যে জায়গায় মুম্বইগামী ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, তার কাছেই একটি মালগাড়িও বেলাইন হয়। ওই দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই রাঙাপানিতে ফের মালগাড়ি লাইনচ্যুত হল।
এই দুর্ঘটনার খবর আসার পরেই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘‘মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হয়েছিল রাঙাপানিতে। সেখানে আবারও রেল দুর্ঘটনা! যা ঘটছে, তা নিয়ে আমরা অত্যন্ত চিন্তিত।’’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*