চিরন্তন ব্যানার্জি:-
কলেজ স্কোয়্যার থেকে ‘আমরা তিলোত্তমা’র মিছিল ধর্মতলায় পৌঁছনোর পরেই উদ্যোক্তারা ঘোষণা করেন যে, ভোর ৪টে অবধি ধর্না অবস্থান চলবে। ঘোষণা মোতাবেক রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে ধর্না অবস্থানে বসেছেন মিছিলের উদ্যোক্তাদের একাংশ। তাঁদের সঙ্গে ধর্নায় বসেছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্ত, গায়ক শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ও।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবং ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিচার চেয়ে কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল ‘আমার তিলোত্তমা’ নামের এক নাগরিক মঞ্চের। যেখানে পা মেলান একাধিক সেলিব্রিটি।
সোশাল মিডিয়াতেই সহ নাগরিকদের আহ্বান জানিয়ে শোভন লিখলেন, “সবাই দলে দলে ধর্মতলা আসুন। যতক্ষণ না বিচার পাচ্ছি বসছি আমরা। চলে আসুন, আর পাশের মানুষ কে জানান। আমরা সাধারণ মানুষ ধরনায় বসলাম।” ধর্মতলার রাস্তায় সেই ধরনাতেই দেখা গেল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তিলোত্তমার জন্য বিচার চাইতে শোভন-সোহিনীকে। ধর্মতলায় ধরনায় যোগ দিয়েছেন, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, বিদীপ্তা চক্রবর্তী। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিশু ও নারী কল্যাণ, পরিবহন বিভাগ-এই চারটি দপ্তরে মেইল করা হয়েছে। যতক্ষণ না সরকারের তরফে সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে, এই বিক্ষোভ অবস্থানে অনড় তাঁরা, বলে জানালেন। মিছিল থেকেই সোহিনী সরকার বললেন, “আমরা রাস্তায় থাকব, যতদিন না থ্রেট কালচার বন্ধ হয়। রাজনৈতিক নেতার এবং তাদের ঘনিষ্ঠরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানাভাবে হুমকি দিয়ে একটা দুর্নীতির রাজত্ব করে তুলেছে। আমরা সেগুলো থেকে মুক্ত একটা সমাজ চাই। আমরা এই থ্রেট কালচার, রেপ কালচারের বিরুদ্ধে আজকে পথে নেমেছি। যতদিন কণ্ঠস্বর থাকবে, প্রতিবাদ করব। একটা হাসপাতালে যদি এরকম ঘৃণ্য ঘটনা হতে পারে, তাহলে ভারতবর্ষের যে কোনও জায়গায় এই ঘটনা হতে পারে। সব রাজ্যের মহিলারা আওয়াজ তুলুন, তাদের সরকারের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করতে হবে। সাধারণ মানুষ যখন একজোট হয়, তখন অনেক সরকার, প্রশাসন নড়ে গিয়েছে।”
Be the first to comment