তফশিলী জাতি,উপজাতির মানুষের ভোট চলতি বছরে হতে চলেছে সরকার গঠনের নির্ণায়ক। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক দলগুলি ৷ বিশেষ করি দুই যুযুধান পক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। গোটা বাংলায় তাই তফশিলী জাতি, উপজাতিদের ভোট রাখতে লড়াই চালাচ্ছে শাসক দল তৃণমুল কংগ্রেস, পাখির চোখ উত্তরবঙ্গ। লোকসভা নির্বাচনে যেখানে পায়ের তলার মাটি টলোমলো সেখানেই ঘাসফুল ফোটাতে লড়াই শুরু করে দিলেন খোদ দলনেত্রী। তৃণমূলের তফশিলি জাতি সম্মেলনে প্রধান মুখ আজ তিনিই।
উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে তিনি বলেছেন, “লোকসভা ভোটে গো-হারা হেরেছি। আশা করি বিধানসভা ভোটে আমাকে আপনারা পুষিয়ে দেবেন।” সেই লক্ষ্যেই এবার উত্তরের আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক অটুট রাখতে গত তিনদিন ডুয়ার্সে সফর করেছেন তিনি। গত দু’দিন তার নজরে ছিল কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলা। বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গে চা-বলয়ে ও আদিবাসী ভোটে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব রাজনৈতিক দল। সেই লক্ষ্যেই এবার লড়াই শুরু করলেন খোদ মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাই আজ বিকেলেই উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে তিনি কলকাতায় তৃণমূলের তফশিলি জাতি, উপজাতি সম্মেলনে হাজির থাকছেন তিনি।
গত দু’দিন আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ার জেলায় হাজির ছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এমনকি ফালাকাটায় রাজ্য সরকার আয়োজিত গণ বিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। উত্তরে মেরামতি করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেই মেরামতি করতে প্রয়োজন আদিবাসী ও তফশিলি জাতি-উপজাতির ভোট। যে ভোট বিজেপি টানার জন্যে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।
আগামী সপ্তাহে বিজেপি কোচবিহার জেলা থেকে রথযাত্রা’র মাধ্যমে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করতে হাজির থাকছেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডার মতো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তার আগেই পাশে আছি এই বার্তা মমতা বন্দোপাধ্যায় দিতে চলেছেন আজ বিকেলের সম্মেলন থেকে। এর মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস যে প্রকৃতই এনাদের পাশে রয়েছে সেই বার্তা দেওয়া যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment