মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর নন্দীগ্রামে ঠিক কী ঘটেছিল, তার তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। এবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে যাচ্ছে বিজেপি প্রতিনিধি দল। এদিকে, অভিযোগ জানাতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
বুধবার নন্দীগ্রামে বিরুলিয়ার মন্দিরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে সেখান থেকে বেরনোর সময়েই পায়ে আঘাত লাগে তাঁর। অসুস্থ মমতাকে কোলপাঁজা করে নিয়ে যাওয়া হয় গাড়ির পিছনের সিটে। সেখান থেকে গ্রিন করিডর করে সোজা SSKM-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে আসে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিকিৎসায় তৈরি হয়েছে ৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম। রয়েছেন অর্থোপেডিক মুকুল ভট্টাচার্য, নিউরো সার্জেন বিভাগের প্রধান-সহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞরা। মেডিক্যাল টিমে সদস্য সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। আজ হবে তাঁর সিটি স্ক্যান। রাতেই এমআরআই করা হয়েছে।
পায়ে আঘাত লাগার ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪-৫ জন মিলে ইচ্ছে করে তাঁকে ধাক্কা মেরেছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। স্থানীয় পুলিশ, এসপি কেউ ছিল না ঘটনাস্থলে। অভিযোগ খোদ তুলেছেন খোদ পুলিশমন্ত্রীই। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল। মমতার দেহরক্ষীরাও ছিলেন।
পুলিশ থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর কীভাবে হামলা হল? মমতার অভিযোগের সারবত্তা কী, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। এ পর্যন্ত এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, কিংবা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী কোনও প্রতিক্রিয়া করেননি। অন্তত তেমনই অভিযোগ তৃণমূলের।
যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, জেড প্লাস নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী করে এমন ঘটনা ঘটল তার তদন্ত হওয়া দরকার। মমতার নিরাপত্তা দিতে রাজ্য পুলিশ ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেন দিলীপবাবু।
Be the first to comment