নবান্নে হকার উচ্ছেদ নিয়ে দ্বিতীয় বৈঠকে কড়া বার্তা মমতার..

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- আজ সাতটি কর্পোরেশনের মেয়র, পুরসভার চেয়ারম্যান, জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের নিয়ে ফের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে ফের পুলিশ-নেতাদের কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ বলেন, “হকার উচ্ছেদ লক্ষ্য নয়। হকারির জায়গায় গোডাউন তৈরি করে ফেলছে। হকার ইউনিয়নগুলোর দেখা উচিত। এক একজন হকার চারটি করে ডালা বসাচ্ছে। পুলিশ, হকার নেতারা গরিব হকারদের কাছে থেকে চাঁদা তুলবেন না।”
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “কোভিডের সময়েও ৭ হাজার ৬৭৩ জন হকারকে ২ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু রাস্তা ফুটপাতই যদি দখল হয়ে যায়, দুর্ঘটনা বড়ে। যে যাঁর মতো প্লাস্টিক জমা করছে, গোডাউন বানিয়ে দিচ্ছে। হকার কমিটির যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের দেখা উচিত ছিল।”
মমতার কথায়, ‘গড়িয়াহাটে তো হাঁটারই জায়গা নেই। বহিরাগতদের জায়গা দেওয়া যাবে না। যত বড়ই নেতা হোক, কাউকে ছেড়ে কথা বলব না। স্থানীয় কাউন্সিলরা চোখে দেখেও দেখেন না কিছু। প্লাস্টিক ব্যবহার না করলেই ভাল। কতদিন সময় লাগবে এসব কাজ করতে। স্টল নাম্বার দেওয়া হোক। গড়িয়াহাটে তো হাঁটাই যাচ্ছে না। বেকার করে দেওয়া, চাকরি খাওয়ার অধিকার আমার নেই।’
এর পর মমতা কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলার কড়া নির্দেশ দেন যেমন, “হকার জোনের পাশে কোনও বিল্ডিংয়ে অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা রাখা হোক”…তিনি বলেন “প্রথমে বসাবেন, তারপর বুলডোজার দিয়ে তুলবেন, সেটা হবে না…যে নেতার জায়গায় এটা হবে, সে গ্রেফতার হবে” ।
মমতা আরো বলেন, “নগরোন্নয়ন সচিব, পুর সচিব জেলায় জেলায় ঘুরে হকার জোন ঠিক করবেন।
এর সাথে বিপজ্জনক বাড়ি সংস্কার না হলে, অধিগ্রহণ করে নিতে হবে,বিপজ্জনক বাড়ি কেনার জন্য একটা তহবিল গড়ার কথা ভাবা হবে।আদালতকে বোঝাতে হবে, মানুষের প্রাণ সবার আগে”।
হকার নিয়ে এখন কড়া মুখ্যমন্ত্রী। তবে বৈঠক শেষে বুঝিয়ে দিলেন তিনি শুধুমাত্র প্রশাসনিক প্রধান নয়, রাজ্যবাসীর অভিভাবকও বটে। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হকার উচ্ছেদ হয়েছে। রুটিরুজি হারিয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, আপাতত এক মাস বন্ধ উচ্ছেদ অভিযান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*