নবান্ন বৈঠকে আজ পুর – পরিষেবার প্রতি তীব্র ভৎর্সনা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ..

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- পুর-পরিষেবা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, নবান্নের বৈঠকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন, বাংলা আর বাইরের বোঝা ঘাড়ে নেবে না। তাঁর এও উদ্বেগ যে, বাইরে থেকে বেশি সংখ্যা লোক ঢুকে পড়ায় বাংলার সংস্কৃতি বিপন্ন হচ্ছে। বাংলার নিজস্বতা, পরিচয় ও চরিত্র নষ্ট হচ্ছে। এর পর হয়তো বাংলায় কথা বলার লোকই পাওয়া যাবে না।
মমতা বলেন, “বাইরের লোকেরা এসে এখানে সব জমি দখল করে নিচ্ছে। টাকার বিনিময়ে তা করছে। বড় বড় কমপ্লেক্স পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে সরকারি জমি দখল করে।” মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, বাইরে থেকে যাঁরা আসছেন, সব জবরদখল করে বসে পড়ছেন। সম্প্রতি রাজারহাটে ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলেন মমতা। এদিন সেই অভিজ্ঞতার কথা শোনাতে গিয়ে তিনি বলেন, “ওয়েবেলের সামনে দিয়ে আসছিলাম। দেখি কালো কালো প্লাস্টিক খাটিয়ে বসে পড়েছে। সব আউটসাইডার।”
বৈঠকে মমতা বলেন, “রাজ্যের জমি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। আরে এত বাইরের লোক এলে আমি টানব কী করে? পাঁচটা রাজ্যকে টানব কী করে? আমাদের ঘাড়ের উপর দেখছি যত বোঝা!”
এদিন নবান্নে রাজ্যের সমস্ত পুরসভার কাউন্সিলর, জেলা শাসক ও পুলিশ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রাজ্যের পুর পরিষেবা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন তিনি। সরাসরি ভর্ৎসনা করেছেন পুরকর্তাদের।

এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি বলেন, ‘আমার কথাটা কিছুটা তিক্ত হলেও মনে রাখবেন পুরসভাগুলিই মানুষকে সেবাটা দেয়। যখন জবরদখল হচ্ছে, তখন কেন সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন হচ্ছে না।‌ কেউ টাকা খেয়ে, কেউ টাকা নিয়ে এটা করছে। মানুষ যদি উন্নয়নের সুফল না পায়, তাহলে সেই পুরসভা পঞ্চায়েত রেখে লাভ কী!’ এই কথা বলে তিনি একটি তালিকাও ঘোষণা করেন, ভাল পুরসভা ও খারাপ পুরসভার। তাঁর কথায়, ‘বেস্ট অ্যান্ড ওয়র্স্ট পারফর্মিং মিউনিসিপ্যালিটিজ।’ পানীয় জল, আবাসন, পরিচ্ছন্নতা— এই তিন সূচকে রাজ্যের পুরসভাগুলিকে নম্বর দেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।
তিনি জানান, পানীয় জলের ক্ষেত্রে ‘বেস্ট পারফর্মিং’ পুরসভার তালিকায় রয়েছে উলুবেড়িয়া, হালিশহর, বৈদ্যবাটি, কলকাতা এবং বাঁকুড়া। এবং পানীয় জলের প্রেক্ষিতে ‘ওয়র্স্ট পারফর্মিং’ পুরসভাগুলি হল, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি, বালি, বরাহনগর, শান্তিপুর।

আবার আবাসনের সূচকে মমতার সেরা পুরসভার তালিকায় রয়েছে, উলুবেড়িয়া, জঙ্গিপুর, হাবরা, কৃষ্ণনগর, মধ্যমগ্রাম। প্রসঙ্গত, পানীয় জল এবং আবাসন– দুই নিরিখেই উলুবেড়িয়াকে ‘বেস্ট পারফর্মিং’ বলে ঘোষণা করে মমতা বলেন, ‘উলুবেড়িয়া পারলে বাকিরা পারে না কেন? এটা তো মডেল পুরসভা হওয়া উচিত।’ আবাসনের সূচকে খারাপ জায়গায় রয়েছে, বিধাননগর, আসানসোল, রায়গঞ্জ এবং কাঁথি। এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কিন্তু ভেঙে দেব।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*