নিখোঁজ ভারতের বৃহত্তম কফি চেন, ক্যাফে কফি ডে-এর প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার ভি জি সিদ্ধার্থ। সোমবার সন্ধ্যা থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সিদ্ধার্থের আরও একটি পরিচয় আছে, তিনি ভারতের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ও কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণর জামাই। তাঁর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। এ বার ক্রমেই জোরাল হচ্ছে আত্মহত্যার তত্ত্ব ৷ সিদ্ধার্থর গাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি চিঠি ৷ তাতে লেখা, অনেক চেষ্টা করেও লাভজনক একটি ব্যবসার মডেল তৈরি করতে পারলাম না ৷ আমি ব্যর্থ ৷ অনেক মানুষের আমার উপর বিশ্বাস ভঙ্গ করার জন্য আমায় ক্ষমা করবেন ৷
সিদ্ধার্থকে শেষবার দেখা গেছে বেঙ্গালুরু থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার দূরে ম্যাঙ্গালোরে নেত্রবতী নদীর ব্রিজে। কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতে সেখানে গাড়ি থেকে নামেন তিনি। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ হয়ে গেলেও গাড়িতে ফিরে না আসায় ও ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান চালক ৷ জানানো হয় পুলিশকেও ৷ এরপরই খোঁজ তাঁর খোঁজ শুরু হয়। তল্লাশি চালাতে নদীতে নামানো হয় বোট।
ভিজি সিদ্ধার্থ চিঠিতে লিখেছেন আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছি ৷ অনেক দিন ধরে লড়াই করেছি ৷ কিন্তু আজ আমি ছেড়ে দিলাম ৷ আমার প্রাইভেট ইক্যুইটি পার্টনারদের মধ্যে একজন আমায় ক্রমাগত শেয়ার বিক্রির জন্য চাপ দিচ্ছে ৷ সেই চাপ আর নিতে পারছি না ৷ আপনাদের প্রত্যেকের কাছে আমার অনুরোধ, নতুন ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে এই ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যান ৷ শক্ত থাকুন ৷ আমার টিম, অডিটর ও সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট আমার আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে কিছু জানেন না ৷ এই তথ্যগুলি আমি কারও সঙ্গে কোনও দিনও শেয়ার করিনি, এমনকী পরিবারের সঙ্গেও নয় ৷ কিন্তু কাউকে ঠকানোর কোনও ইচ্ছে বা উদ্দেশ্য আমার ছিল না ৷ একজন উদ্যোগপতি হিসেবে আমি ব্যর্থ ৷
এই মুহূর্তে সিদ্ধার্থের সব আত্মীয় জড়ো হয়েছেন বেঙ্গালুরুতে এসএম কৃষ্ণর বাড়িতে ৷ সিদ্ধার্থের সঙ্গে এসএম কৃষ্ণর বড় মেয়ে মালবিকার বিয়ে হয় ৷ তাঁর দুই ছেলেও আছে ৷ ক্যাফে কফি ডে ছাড়াও একটি হসপিটালিটি চেন রয়েছে তাঁর ৷
প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি সময়ে বেঙ্গালুরুর ব্রিগেড রোডে কফি শপ খোলেন সিদ্ধার্থ। পরবর্তীতে সেই কফি শপটি চেনে পরিণত হয়ে সারা দেশে বিস্তার করে। বর্তমানের তাঁর কফি চেনে কর্মী সংখ্যা প্রায় দশ হাজার।
Be the first to comment