নিট কেলেঙ্কারী নিয়ে সংসদে প্রথম দিনেই শিক্ষামন্ত্রীর ইস্তফা নিয়ে সরব বিরোধীরা

Spread the love

চিরন্তন ব্যানার্জি :- আজ থেকে শুরু হলো ১৮ তম লোকসভার বাদল অধিবেশন তথা বাজেট অধিবেশন। আর অধিবেশনের শুরুতেই স্বভাবতই নিট কেলেংকারী নিয়ে সরব হলেন বিরোধীরা। সোমবার সংসদ বসরার পর প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হতেই ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা নিট নিয়ে সরব হন বিরোধী দল নেতা রাহুল গান্ধী এবং অখিলেশ যাদবরা। ইন্ডিয়া জোটের বাকি শরিকরাও এক সুরে সরকারকে চেপে ধরে। অধিবেশন কক্ষে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের উপস্থিতিতেই প্রশ্ন করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, যাদের টাকা আছে তাদের কাছে শিক্ষা আছে, এমন একটা ধারণা তৈরি হয়ে গেছে গোটা দেশে। বিরোধীরা তাই মনে করে এই অবস্থার অবসান দরকার।
সপার প্রধান অখিলেশ বলেন, নিট কেলেঙ্কারি নিয়ে যা জানা গিয়েছে তাতে শিক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ না করলে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রছাত্রীদের প্রতি অবিচার করা হয়। তিনি অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। এদিন বিরোধীদের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, উত্তর প্রদেশে আপনারা ক্ষমতায় থাকার সময় কতবার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, সেই হিসাবটা বলুন। এর পাশাপশি তিনি বলতে শুরু করেন, ‘‘আমি পূর্ণ দায়িত্ব সহকারে বলছি, এনটিএ গঠনের পরে দেশে ২৪০টি পরীক্ষা হয়েছে। সাত বছরে কোনও রকম প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ নেই। ৭০ তো দূর, একটিও না! যে ঘটনাটি সম্প্রতি ঘটেছে, সেটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বিহারের পটনার কাছাকাছি একটি এলাকায় একটিমাত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে হয়েছে। যা বিহার পুলিশের সক্রিয়তার কারণে ধরা পড়েছে। সিবিআইও তদন্ত শুরু করেছে। বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে আছে। সমস্ত তথ্যও প্রকাশ্যে এসেছে।’’ এর পরেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ঘটনাটির ‘গুরুত্ব’ বিচার করে তিনি কি ইস্তফা দেবেন? জবাবে ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘‘আমি এখানে এসেছি আমার নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইচ্ছায়। তাই দায়িত্ব নেওয়ার প্রশ্ন যখন আসবে, আমার সরকার একজোট হয়ে তার উত্তর দিতে বাধ্য।’’ যা শুনে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর কটাক্ষ, ‘‘উনি তো নিজেকে বাদ দিয়ে বাকি সকলের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছেন দেখছি।’’ এর পরই সংসদে শুরু হয় চিৎকার চেচামেচি, বিরোধীদের চিৎকারে ক্ষুব্ধ ধর্মেন্দ্রকে বলতে শোনা যায়, ‘‘চিৎকার করলেই অসত্য সত্য হয়ে যাবে না। বিরোধী দলনেতা যে ভাবে দেশের পরীক্ষা ব্যবস্থার নিন্দা করছেন, তা নিন্দনীয়।
প্রসঙ্গত, রবিবার কলকাতায় একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন বাংলায় শিক্ষা দুর্নীতির জন্য যদি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয় হতে পারে তাহলে নিট কেলেঙ্কারি দায় কী করে এড়াচ্ছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান? নিট কেলেঙ্কারির দায়ে কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না? তারপরের দিন সংসদে ইস্তফার মুখে পড়তে হলো দেশের শিক্ষামন্ত্রীকে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*