অমৃতা ঘোষ :- দুই স্কুল পড়ুয়ার মধ্যে ঝামেলা। সেই নাবালিকার মধ্যে একজন টিটাগড়ের কাউন্সিলর রাজেন্দ্র সোনকারের মেয়ের বন্ধু। পড়াশোনা নিয়ে নিতান্ত সামান্য ঝামেলা। সেই ঝামেলা থেকে গালিগালাজ, মারধর। আর তা ‘সালিশি’ করতে গিয়ে এক ছাত্রীকে মারধর করে জামা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রাহুল সোনকার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুল সোনকারের বোনের বন্ধুর সঙ্গে নির্যাতিতার একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। রাহুল প্রতিবেশীদের কাছ থেকে শুনতে পেয়েই ওই এলাকায় গিয়ে ছাত্রীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।
নিগৃহীতার বক্তব্য, “আমার সঙ্গে একটা মেয়ের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল, পড়াশোনা নিয়েই ঝামেলা হয়। ওই মেয়ের এক বন্ধু আমাকে গালি দেয়, আমিও গালি দেয়। আমার মা আমাকেই ঘরে ডেকে আমাকে বকাবকি করে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওদের দলবল আসে। সেখানে কাউন্সিলরও উপস্থিত ছিলেন। কাউন্সিলরের ছেলে এসে আমার জামা ফোল্ড করে গোটায়, তারপর ছিঁড়ে দেয়… আমাকে মারতে থাকে, আমার মাথায় মারে। আবার আমাকে হুমকি দিচ্ছে, আমি যেখানেই যাব, সেখানে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করবে। আমার মাকেও মেরেছে।”
যদিও কাউন্সিলরের মেয়ের বান্ধবী, যার সঙ্গে মূল ঝামেলা, তার বক্তব্য, “একটা সামান্য ঝামেলা হয়েছিল, ওই হঠাৎ করে আমাকে গালি দিতে থাকে, আমিও দিই। তারপর আমাকে মারধর করতে থাকে। চোখেমুখে খিমচি দিয়ে দেয়। রক্ত বেরোতে থাকে। বাড়িতে আসার পর মায়েরা জিজ্ঞাসা করে, তারপর ওদের ডেকে কথা বলতে যায়। তখন ওরাই প্রথম হামলা করে। আমাদের দাদা কিছুই করেনি। আমাদের সঙ্গে টানা হিঁচড়েতেই ওর জামার একটা বোতাম ছিড়ে যায়। আমার দিদি বলে, ওড়না গায়ে দিয়ে দে। কিন্তু ও নেয়নি। যখন একটা ছেলে শার্ট খুলে দিল, তখন ও পরল।”
টিটাগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ রাহুল সোনকারকে গ্রেফতার করে।
কাউন্সিলর রাজেন্দ্র সোনকারের দাবি, “বাচ্চাদের মধ্যেই ঝামেলা। আমার ছেলে জড়িয়ে পড়ল। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। আইন আইনের পথে চলবে।”
Be the first to comment