মাত্র ১৪ মাসের মধ্যেই পতন হল কর্নাটকের কংগ্রেস-জনতা দল সেকুলারের জোট সরকারের। মঙ্গলবার আস্থাভোটে হেরে রাজ্যপাল বাজুভাই বালার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন এইচ ডি কুমারস্বামী। তবে আপাতত নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত কুমারস্বামীকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন রাজ্যপাল। এদিন ১০৫-৯৯ আস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছেন কুমারস্বামী। হারালেন মুখ্যমন্ত্রীর পদও। কর্নাটকে ফের সরকার গড়ার পথে গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা।
প্রসঙ্গত, ঘোড়া কেনাবেচা, দুর্নীতি, অসহযোগিতা সহ একাধিক অভিযোগ তুলে কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে কার্যত জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন জোট সরকারের ১৫ জন বিধায়ক। পরে সেই দলে যোগ দেন আরও দুই নির্দল বিধায়ক। কর্নাটক ছেড়ে মুম্বইতে এসে থাকতে শুরু করেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। এরপরই শুরু হয় আস্থাভোট নিয়ে জল্পনা। বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। অবশেষে মঙ্গলবার আস্থা ভোটে পরাজিত হলো কুমারস্বামীর জোট সরকার। ম্যাজিক ফিগার ১০৩ হলেও জোট সরকারের দখলে আসে মাত্র ৯৯টি ভোট। স্পিকারের ঘোষণা মতোই আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আস্থাভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে বিদ্রোহী বিধায়কদের দায়ের করা মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্ট বুধবার পর্যন্ত পিছিয়ে দিলে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত আস্থাভোটে রাজি হন কুমারস্বামী।
এদিকে কুমারস্বামী সরকারের পতনের পর ট্যুইট করেছে কর্ণাটকের কংগ্রেস শাখা। এই ঘটনাকে গণতন্ত্রের সাময়িক পরাজয় বলে আখ্যা দিয়েছে কংগ্রেস।
Be the first to comment