গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যায় গ্রেফতার হওয়া বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমার বুধবার জামিনে মুক্ত হয়েছেন। আর তারপরই বৃহস্পতিবার তাঁর স্ত্রী উগরে দিলেন একরাশ ক্ষোভ। অশোকের স্ত্রীর অভিযোগ, পুলিশ তাঁর স্বামীকে পিটিয়ে, ইলেকট্রিক শক দিয়ে খুনের দায় স্বীকার করে নিতে বাধ্য করে। তিনি প্রথম থেকেই নিশ্চিত ছিলেন তাঁর স্বামী এ কাজ করেননি। গুরুগ্রাম পুলিশ ঠিকমতো তদন্ত না করেই তাঁকে ফাঁসিয়ে দেয়। তিনি যে জামিন পেয়েছেন, তা একধরনের ন্যায় বিচার বলেই মন্তব্য করেন গ্রেফতার হওয়া বাস কন্ডাক্টরের স্ত্রী। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ পুলিশ তাঁর স্বামীকে মাথা নীচে পা ওপরে করে ঝুলিয়ে রাখত পুলিশ, স্বীকারোক্তি আদায় করার জন্য নেশার ওষুধও খাওয়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৮ সেপ্টেম্বর রায়ান স্কুলের বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় ৮ বছরের প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের গলাকাটা দেহ। পুলিশ তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে পেশায় ওই স্কুলেরই বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে। যদিও পরে তদন্তে নেমে সিবিআই অশোককে নির্দোষ বলে ঘোষনা করে।
Be the first to comment