গুরগাঁওয়ের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের খুনের ঘটনায় জামিন পেলেন অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে। জানা গিয়েছে, তদন্ত দ্রুত শেষ করার তাগিদে স্থানীয় পুলিশ ফাঁসিয়ে দেয় সম্পূর্ণ নির্দোষ বাস কন্ডাক্টরকে। সিবিআই তদন্তে উঠে আসে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। যদিও অশোকের বিরুদ্ধে প্রদ্যুম্নকে যৌন নিগ্রহ বা খুন করার কোনও প্রমাণ মেলেনি। অশোক কুমার জানিয়েছেন, তাঁর ওপর অত্যাচার চালানো ও প্রকৃত দোষীকে আড়াল করার কারণেই হরিয়ানা পুলিশ ফাঁসিয়ে দিয়েছে তাঁকে। অন্যদিকে, প্রদ্যুম্নের পরিবারের আইনজীবি জানান, প্রদ্যুম্নের বাবা সুবিচার পাওয়ার আশায় শেষপর্যন্ত এই লড়াই চালিয়ে যাবেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আইনের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। হরিয়ানা পুলিশ খুব শীঘ্রই মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে তাঁকে যথোপযুক্ত শাস্তি দেবে।
প্রসঙ্গত,প্রদ্যুম্ন হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অশোক কুমারকে খুনী বলে দাবি করে গুরগাঁও পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে অশোককে বাথরুম থেকে বেরোতে দেখা যায়। সেই ফুটেজ দেখিয়ে পুলিশের দাবি, বাসের টুলবক্সের মধ্যে থাকা ছুরি সে বাথরুমে পরিষ্কার করছিল, তখনই সেখানে ঢোকে প্রদ্যুম্ন। তাকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করে সে, তারপর ছুরি দিয়ে গলা কেটে দেয়। কিন্তু পরে জানা যায় যে একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে প্রদ্যুম্ন হত্যার অভিযুক্ত হিসেবে আটক করা হয়েছে, সে খুনের পর ছুরিটি কমোডে ফেলে দেয়। ফলে অশোক কুমার ছুরি দিয়ে প্রদ্যুম্নর গলা কাটে বলে পুলিশের যে দাবি করে তা ভিত্তিহীন, এমনই মত সিবিআই আধিকারিকদের।
Be the first to comment