রোজদিন ডেস্ক :- অষ্টাদশ লোকসভা অধিবেশনের প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নব নির্বাচিত সাংসদ তথা ভারত বাসীর উদ্দ্যেশে কিছু বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন “সংসদীয় লোকতন্ত্রে আজকের দিনটি খুবই গৌরবময় । স্বাধীনতার পর প্রথমবার আমাদের নিজেদের নতুন সংসদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতদিন এই প্রক্রিয়া পুরোনো সদনে হতো । আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ দিনে, আমি আমার সকল নব নির্বাচিত সাংসদ দের আন্তরিক ভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি, এবং সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাচ্ছি।”
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন “সংসদের এই গঠন নতুন উদ্দীপনা, নতুন চিন্তা, নব উৎসাহ কে কাজে লাগিয়ে নতুন গতি, নতুন উচ্চতার শিখরে পৌঁছনোর জন্য এক গুরত্ব পূর্ণ সময়। শ্রেষ্ঠ ভারত নির্মাণ করার জন্য ,২৪*৭ পরিষেবা দেওয়ার জন্য, এই সমস্ত লক্ষ্য পূরণ করার সংকল্প নিয়ে আজ অষ্টাদশ লোকসভার এই অধিবেশন শুরু করা হলো। এত বড় একটা নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার জন্য ১৪০কোটি ভারতবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এই নির্বাচন আরো একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ, সেটি হলো, স্বাধীনতার পর দ্বিতীয়বার কোনো সরকারকে পরপর তিনবারের জন্যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে জনগণের সেবা করার উদ্দ্যেশ্যে। বন্ধুগন, এটা নিশ্চিত যে, জনগণ যখন একটা সরকারকে তৃতীয়বারের জন্য মনোনীত করেছেন, তখন তাঁরা সেই সরকারের নিয়ম, নিষ্ঠা, জনগণের উপর ভরসা এই সমস্ত ব্যাপারে শিলমোহর লাগিয়ে দিয়েছে। গত দশ বছরে এটা জেনেছি একটা দেশ চালানোর জন্য সহনশীল হতে হবে, তবেই ভারত মাতার সেবা করা যাবে, ১৪০কোটি ভারতবাসীর সমস্ত আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব হবে। আমি সবাইকে সাথে নিয়ে, সংবিধানের মর্যাদা রেখে সিদ্ধান্ত গুলিতে গতি আনতে চাই। আমার কাছে এটা খুশির ব্যাপার যে, এবার যুব সাংসদ দের দায়িত্ব দেওয়া যাবে।”
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে।
গত দশ বছরে একটা পরম্পরা তৈরি করেছি। সরকার চালানোর জন্য বহুমত তথা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। কিন্তু দেশ চালানোর জন্য সহমতের প্রয়োজন। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই। সংবিধানের নিয়ম মেনেই চলতে চাই।
- ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে যাঁরা পরিচিত তাঁরা জানেন ১৮ সংখ্যাটার সাত্ত্বিক মূল্য রয়েছে। গীতার ১৮টি অধ্যায় রয়েছে। কর্ম, কর্তব্য আর করুণার বার্তা তা থেকে পাওয়া যায়। আমাদের পুরাণ আর উপ পুরাণের সংখ্যাও ১৮। ১৮ সংখ্যা যোগ করলে ৯ হয়। আর ৯ সংখ্যাটি পূর্ণতার কথা বলে। আমাদের দেশে ১৮ বছর বয়সে ভোটাধিকার দেওয়া হয়।
- আজ ২৪ জুন। কাল ২৫ জুন। যাঁরা ভারতের সংবিধানের উপর আস্খা রাখেন, যাঁদের গণতান্ত্রিক পরম্পরা নিয়ে নিষ্ঠা রয়েছে, তাঁরা ২৫ জুন দিনটা কখনও ভুলতে পারবেন না। ওই দিনটা ভারতের গণতন্ত্রের উপর একটা কালো দাগের মতো। ওই দিন ভারতের সংবিধানকে অমান্য করে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। দেশকে জেল খানা বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
- দেশের মানুষ আমাদের আবার দায়িত্ব দিয়েছে। এই জয় খুবই মহৎ জয়। এই তৃতীয় মেয়াদে আমরা আগের তুলনায় তিন গুণ পরিশ্রম করব। তার পরিণামও তিন গুণ হবে।
- মানুষ সংসদে নখড়া চায় না, নাটক চায় না। মানুষ স্লোগান চায় না। দেশ দায়িত্বশীল বিরোধী দেখতে চায়। বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে যে নিরাশা তৈরি হয়েছিল তা এবার থাকবে না বলেই আশা করি।
Be the first to comment