অমৃতা ঘোষ :- বুধবার রাত থেকেই শুরু অতি বর্ষণ। অতিভারী মেঘভাঙ্গা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন প্রায় বিপর্যস্ত। কেদারনাথ পথের রামবড়ায় দুটি সেতু জলের তোড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
ঠিক একই ভাবে আবারও বিপর্যয় কবলিত উত্তরাখণ্ড তথা কেদারনাথ।
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডের কেদার-যাত্রাপথের অধিকাংশ মূল রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ায় কেদারনাথ যাত্রা স্থগিত করে দিয়েছে প্রশাসন।
প্রায় ২০০ পুণ্যার্থী আটকে পড়ে রয়েছেন। তার মধ্যে বাঙালি ভক্তরাও থাকতে পারেন বলে অনুমান। ফলে দুদিকের যাত্রাপথ পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। সোনপ্রয়াগ এবং গৌরীকুণ্ড যোগাযোগকারী রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে প্রায়। রাস্তা ও সেতু ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় অন্তত পুণ্যার্থীরা মাঝপথে আটকে পড়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপাতত কেদারনাথ যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও সোনপ্রয়াগ ও ভীমবলীর মধ্যে রাস্তার ফুটপাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে রয়েছেন পুণ্যার্থীরা।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কিছু লোককে উদ্ধার করতে পারলেও এখনও বহু ভক্ত আটকে রয়েছেন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ভীমবলীর কাছে পুণ্যার্থীদের আটকে রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে ২ জন ভেসে গিয়েছেন। গৌরীকুণ্ডের তপ্তকুণ্ড এবং ঘোড়া পড়াও সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন। এদিকে, বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষণ ঠেকছে না। কুমায়ুনের চারটি জেলা ও গাড়োয়ালের তিনটি জেলায় অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি আজ, বৃহস্পতিবার এই এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে আবহাওয়ার গতিবিধির উপর।
Be the first to comment