রোজদিন ডেস্ক :- প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সরাসরি ‘ডিল’ করতেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই টাকার একটা বিপুল অংশ পৌঁছাতো শাসক তৃণমূলের একেবারে শীর্ষ মহলে, নির্দিষ্ট এক প্রভাবশালী তরুণ নেতার কাছে। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা মানিক ভট্টাচার্যের হাত হয়ে গত বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূলী দলীয় তহবিলে ঢুকেছিল। বিনিময়মূল্য হিসাবেই পরপর তিনটি প্রাইমারি টেটে বেনজির দুর্নীতির পরেও আদালতের হস্তক্ষেপের আগে পর্যন্ত মানিক ভট্টাচার্যকেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদে বহাল রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
প্রথম কয়েক বছর মানিক ভট্টাচার্যের হয়ে এই টাকা তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি বিভাস অধিকারী। সেই সময়ে প্রাথমিক টেটে নিয়োগের তালিকাও নিয়ন্ত্রণ করতেন এই ব্যক্তি। টাকা উঠবে কোন জেলা থেকে, কত টাকা, সব হিসাব রাখা হতো। অনুব্রত মণ্ডলেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই ব্যক্তি। অনুব্রতর তরফেও গোছা গোছা সুপারিশ পৌঁছেছিল মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স নামে তৃণমূলের মদতপুষ্ট সংগঠনের সভাপতি ছিলেন তিনি। এরপর তাঁর দুর্ঘটনার পরে সেই পদে বসানো হয় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিক্ষাব্যবসায়ী তাপস মণ্ডলকে। এখনও পর্যন্ত তিনি ওই সংগঠনের সভাপতির পদে আছেন। তাপস মণ্ডল ইতিমধ্যে দু’দফায় ইডির জেরায় জানিয়েছেন বিএড, ডিএলএড কলেজের ছাত্রপিছু টাকা তুলে মানিক ভট্টাচার্যের অফিসে নিয়ম করে পাঠাতে হতো।
Be the first to comment