ফের শতাব্দী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ড। শুক্রবারই রেল আধিকারিকদের অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল। তার ১২ ঘণ্টার মধ্যে আবারও আগুনের ঘটনা ঘটায়, রেলে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
শনিবার সকাল পৌনে সাতটা নাগাদ দিল্লি থেকে লখনউগামী শতাব্দী এক্সপ্রেসের জেনারেটর কারে আচমকাই আগুন লেগে যায়। এদিন ধোঁয়া চোখে পড়া মাত্র আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। গাজিয়াবাদ স্টেশনে থামিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনটি।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য জেনারেটর কারটি রেক থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। আগুনের কারণে ওই কামরার কোনও দরজা খোলা যায়নি। তাই তা ভেঙে আগুন নেভানো হয়।
এদিন রেলের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘যে কোচে আগুন লেগেছিল তা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। যাত্রীদের সকলকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে ট্রেন থেকে। সকাল ৮:২০ নাগাদ ট্রেনটি লখনউয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।’
রেলের চিফ ফায়ার অফিসার সুশীল কুমার এদিন জানিয়েছেন, শুধুমাত্র জেনারেটর কার এবং পার্সেল কোচে আগুন লেগেছিল। চারটি ফায়ার ইঞ্জিন আনা হয় ঘটনাস্থলে। কোচের জানলা ভেঙে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কিন্তু কী কারণে আগুন লাগল? সুশীল জানিয়েছেন, এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এদিন শতাব্দীতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন রেলের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং কর্তব্যরত কর্মীরা। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ দিল্লি থেকে দেরাদুনগামী শতাব্দী এক্সপ্রেসে আগুন লেগেছিল। যার ভয়াবহতার রেশ এখনও কাটেনি। আট দিনের মধ্যে ফের এহেন ঘটনায়, রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীদের একাংশ।
Be the first to comment