রোজদিন ডেস্ক :- মাঝরাতে ফের হানা চললো, কিন্তু এবার সেটা রেল শহর খড়গপুরে। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্তসহায়ক তমোঘ্ন দের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। খড়গপুর এর তালবাগিচায় তমোঘ্ন এর বাড়ি।
শুভেন্দু অধিকারীর পরে পরেই , নিশানা হিরণের দিকে।মঙ্গলবার মাঝরাতেই , খবর পেয়ে দাসপুর থেকে খড়গপুর পৌঁছান হিরণ। সেখানে গিয়ে রীতিমতো পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান হিরণ।
হিরনের অভিযোগ, কী কারণে এই অভিযান তা জানাচ্ছে না পুলিশ। রেইডের কোনও কাগজ পুলিশ দেখাচ্ছে না বলেও দাবি হিরণের। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য রেল শহর খড়গপুরজুড়ে।
উপস্থিত অফিসারের উদ্দেশে হিরণকে রীতিমতে আঙুল উঁচিয়ে প্রশ্ন করতে শোনা যায়, ‘আপনি পকেটে হাত দিয়ে কথা বলছেন কেন? আমি একজন বিধায়ক, আপনি পকেটে হাত দিয়ে কথা বলতে পারেন না।’ পালটা পুলিশ অফিসার হিরণকে বলেন, ‘আপনিও আঙুল তুলে কথা বলতে পারেন না।’ একটা সময় হিরণ রীতিমতো হুঁশিয়ারি বলেন, ‘দম থাকে আটকে দেখাবেন।’ হিরণ পুলিশ অফিসারকে আরও বলেন, ‘হাইকোর্টের অর্ডার দেখান।’ পালটা অফিসার বলেন, ‘হাইকোর্টের অর্ডারে তদন্ত হয় না কি? কেস হয়েছে, তাই আমি তদন্তে এসেছি।’
বিজেপি প্রার্থীর দাবি, কী কারণে পুলিশ আচমকা এই অভিযান করছে তা জানায়নি। এমনকী তল্লাশি করার কোনও কাগজ সঙ্গে আনেনি। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে হিরণকে বলতে শোনা যায়, “তদন্তের কোনও কাগজ দেখাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যেন পাকিস্তান থেকে জঙ্গী এসেছে। আমার পিএ-র বাড়িতে রাত্রি সাড়ে তিনটের সময় পুলিশ তদন্ত করতে এসেছে। আর তমঘ্নর মা হার্টের রোগী। অথচ কোনও কাগজ দেখাচ্ছে না।”
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিরণ বলেন, “আমাদের পার্টির জেনারেল সেক্রেটারির মেদিনীপুরের বাড়িতে, পার্টির সম্পাদক তথা মাস্টারমশাই সৌমেন মিশ্রর কেশপুরের বাড়িতে এবং আমার আপ্ত সহায়ক তমঘ্ন দে-র খড়গপুরের বাড়িতে রাত্রি দুটো থেকে তিনটের মধ্যে হানা দেয়। ওদের কাছে কোনও কাগজ-পত্র ছিল না। আমি জানার পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেখানে পৌঁছে যাই। আমি ওদের কাছে একটাই প্রশ্ন করি আপনাদের কাছে কী কাগজ রয়েছে? ওরা বলছে না আপনাকে দেখাব না। আমি বললাম যে আমি তো সাধারণ মানুষ নই। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এলাকার বিধায়ক। নির্বাচিত প্রতিনিধি।” এরপরই এই ঘটনার পিছনে দেব ওরফে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীকে দুষে হিরণ বলেন, “ওরা জানে ভোটে জিততে পারবে না। এর আগে এখানকার অভিনেতা সাংসদ বুথ জ্যাম করে ভোটে জিতেছিলেন। এবার তা হবে না। মান সম্মান জলাঞ্জলী যাবে। তাই এগুলো শেষ অস্ত্র। পুলিশকে দিয়ে সন্ত্রাস তৈরি করো। উনি তো নাকি সৌজন্যতার প্রতীক। বাংলার মানুষ দেখুক তাঁর সৌজন্যতা।”
Be the first to comment