জয়নগরে তৃণমূল নেতা সহ তিনজনের খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে গোষ্ঠীকোন্দল। জয়নগর থানার সামনেই শাসকদলের এক গোষ্ঠীর সমর্থকরা আরেক গোষ্ঠীর সদস্যকে মারধর করে বলে অভিযোগ। শুক্রবার সকালে, দলীয় নেতা, কর্মীদের খুনের ঘটনা নিয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী ও সওকত মোল্লার সঙ্গে কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস।
তাঁর অভিযোগ, সারফুদ্দিন খান নন, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন বিধায়কই। সেই সময় কার্যালয়ের বাইরে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ দাসের অনুগামীরা। তাঁদের অভিযোগ, ব্লক সভাপতি গৌর সরকারের নির্দেশেই এই হামলা চালানো হয়। এই সময় জয়নগর থানায় আসেন গৌর সরকারের এক অনুগামী। সেখানও উপস্থিত ছিলেন বিধায়কের অনুগামীরা। অভিযোগ, থানার একেবারে গেটেই ওই তৃণমূল কর্মীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁরা। প্রবল মারধর করা হয় তাঁকে। কোনও ক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে থানার মধ্যে ঢুকে যান তিনি।
তবে, এই শুট আউটের ঘটনায় গোষ্ঠীসংঘর্ষের তত্ত্ব মানতে নারাজ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, বাম বা এসইউসি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে। শুধু তাই নয, দলীয় রং না দেখেই প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
তবে, প্রশ্ন উঠছে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়হিন্দ বাহিনীর জয়নগর ব্লক সভাপতি সারফুদ্দিন খান খুন হওয়ার পরেও, কেন একবারও আসেননি গৌর সরকার। এমনকী, দলীয় কর্মীর বাড়ি গিয়ে তাঁর পরিবারকেও সমবেদনা জানাননি তিনি। জয়নগরে দুষ্কৃতী হামলায় ১ তৃণমূল নেতা সহ ৩জনের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তার মধ্যে একজন তৃণমূল কর্মী বলে পুলিস সূত্রে খবর। পেট্রোলপাম্পে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজের মধ্যে হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সুবিধা হচ্ছে তদন্তকারীদের।
Be the first to comment