একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হন মুকুল রায়। তবে তারপরেই অবশ্য দলবদল করেছেন মুকুল। আর তাঁর এই ফুল-বদলের পর থেকেই আরও অনেকের দলবদলের জল্পনা তৈরি হয়। বেসুরো হন অনেক নেতা। পুরোনো দলের ফেরার আগ্রহ, অনুরোধের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। আর এরই মধ্যে বিজেপির আরও দুই বিধায়ককে নিয়ে শুরু হয়ে গেল জল্পনা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। নিজের পুরোনো দলে ফিরলেও দল ত্যাগ বিরোধী আইনের কবল থেকে বাঁচতে মুকুলের স্থান হয়েছে বিরধী বেঞ্চে। অনেকেরই মনে হয়েছিল, এই আসন বণ্টনের জন্যে অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে মুকুলকে। তবে বিজেপিতেও মুকুলের অনুগামীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। আর এরই ইঙ্গিত মেলে শুক্রুবার। প্রবল হট্টগোল, ওয়েলে নেমে প্রতিবাদের মাঝেই এদিন বিজেপির দুই বিধায়ক মনোজ টিগ্গা ও জুয়েল মুর্মু মুকুল রায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে গেলেন।
অবশ্য এই প্রণাম করার বিষয়টিকে দলবদলের ইঙ্গিত মানতে নারাজ উভয় পক্ষই। সবারই বক্তব্য, সৌজন্যতার খাতিরেই বিধায়করা প্রণাম করেন মুকুলকে। প্রসঙ্গত, গত বিধানসভাতে বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা ছিলেন মনোজ টিগ্গা। এবার বিরোধী দলনেতা হিসেবে তাঁর নামই প্রথম উঠে আসে। পরে অবশ্য সেই পদে বসেন শুভেন্দু অধিকারী। এই পরিস্থিতিতে মনোজের মনে কোনও অসন্তোষ থাকা অস্বাভাবিক নয়। আর তাই এই আচরণকে নেহাত সৌজন্যমূলক হিসেবে দেখছেন না অনেকেই।
এদিকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেও বিজেপির আসনে বসা মুকুলকে এদিন নির্লজ্জ বলে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ বলেন, ‘বাংলার রাজনীতিতে মুকুল রায়ের একজন পরিষ্ঠ নেতা। তিনি বিজেপির টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন। আর এখন তিনি নির্লজ্জের মতো আমাদের বেঞ্চে বসে রয়েছেন। পিএসি চেয়ারম্যান হবেন বলেই কি তিনি ত্রিশঙ্কু হয়ে গেলেন?’
Be the first to comment