ঝাড়গ্রাম রাজ্যের নব্যতম জেলা। উন্নয়নের পাশাপাশি এই জেলাকে সাজিয়ে ফেলা হচ্ছে ভবিষ্যতের এক অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িকে কেন্দ্র করে সার্কিট ট্যুরিজম তৈরি করা হবে। সেই কাজেরই প্রথম পর্যায় হিসেবে রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের সহায়তায় পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠছে বেশ কয়েকটি কটেজ রাজবাড়ি চত্ত্বরে। রাজবাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে পড়েছে রঙের প্রলেপ, এই ঐতিহাসিক মল্ল রাজাদের বাড়িটি সংস্কার হচ্ছে। এছাড়াও রাজবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হবে পার্ক, অডিটোরিয়াম। পুরো এলাকাটিকেই পর্যটনের জন্য সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা আছে। আপাতত কটেজ ছাড়াও রাজবাড়ির ভেতরেও পর্যটকরা থাকতে পারেন। এখান থেকে অনেকেই জঙ্গলমহলের চিল্কিগড়, কনকদুর্গা, জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক, হাতিবাড়ি, ঝিল্লি পাখিরালয়, কাঁকরাঝোড়, ঘাঘরা, খাঁদারাণী বাঁধ ইত্যাদি অঞ্চলে গিয়ে থাকেন।
ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে বাড়ছে এমু পাখির সংখ্যা। বাড়ছে চিতল হরিণ, নীল গাই-সহ বিভিন্ন পশু পাখির সংখ্যা। তাই এই পার্কের পশুপাখির এনক্লোজারগুলিকে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। পার্কের ভেতরের রেসিডেন্সিয়াল এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এনক্লোজারগুলি।
জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ককে আগে বলা হত ঝাড়গ্রাম ডিয়ার পার্ক। সেই সময় এই পার্কের এলাকা ছিল ১৪ হেক্টর। বর্তমানে এই এলাকা ২৩ হেক্টর। পার্কের রেসিডেন্সিয়াল এলাকা ছাড়া হওয়া পশুপাখিদের মধ্যে ইতিমধ্যে ফিশিং ক্যাট, হনুমান, বাঁদরদের জন্য নতুন জায়গায় নতুন এনক্লোজার তৈরির কাজ চলছে। এখন এমুর সংখ্যা ১০। সেজন্য বড় বড় এনক্লজার তৈরি করে পার্কের নতুন এলাকায় স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
সমস্ত কাজ শেষ হলে পর্যটকরা নতুন গেট দিয়ে ঢুকে খুব সহজেই এই প্রাণীদের কাছ থেকে দেখতে পারবেন। ২৩ একরের পার্কটিকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
Be the first to comment