চিরন্তন ব্যানার্জি :- এনডিএ জোটের সাথী হয়েও নীতিশ কুমারের কপালে জুটলো না কোনো সুফল। আপাতত মোদীর সরকার, বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিকে খারিজ করে দিলো। অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি লিখিত চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, যে যে শর্তে অতীতে একাধিক রাজ্য বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছে সেই শর্ত পূরণ করতে পারছে না বিহার। তাই এখনই বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া সম্ভব নয়। অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি লিখিত জবাব দিয়ে জানিয়েছেন, জাতীয় উন্নয়ন কাউন্সিলের শর্ত অনুযায়ী বিশ্লেষণ করেই কিছু রাজ্যকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হত। এই শর্তগুলির হলো, পাহাড়ি এলাকা বা কঠিন ভৌগলিক অবস্থান। কম জনঘনত্ব, আদিবাসী বহুল রাজ্য, সীমান্ত এলাকায় কৌশলগত অবস্থান, আর্থিক এবং পরিকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে পড়া। রাজ্যের কোষাগারের বেহাল অবস্থা। অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১২ সালে বিহারের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা নিয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রী গোষ্ঠীতে আলোচনা হয়েছিল। সেসময় সিদ্ধান্ত হয়, উক্ত শর্তগুলির কোনটার মধ্যে বিহার পড়ছে না। এরপরই, এনডিএ-র গুরুত্বপূর্ণ শরিক জেডিইউ-এর দাবি নাকজ হয়ে যাওয়ায় কটাক্ষ করেছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম শরিক আরজেডি। এক্স হ্যান্ডলে লালুর দলের তরফে লেখা হয়, “নীতীশ কুমার এবং জেডিইউ নেতারা ক্ষমতার ফল ভোগ করছেন আর বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা নিয়ে নাটুকে রাজনীতি করছেন।” এই দাবি কার্যত খারিজ হয়ে যাওয়ার পরেই বিহারের রাজনীতিতে জোর কদমে শুরু গিয়েছে তরজা। অন্যদিকে, কেন্দ্র প্রত্যাখ্যান করায় অখুশি জেডিইউ-ও। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব ও সাংসদ সঞ্জয় ঝা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, “আমাদের মূল দাবি বিহার-কে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া। সেটা কেন্দ্রকে মানতেই হবে।”
গ্রাফিক্স : চিরন্তন
Be the first to comment