বীভৎস অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত যোনি, শ্বাস রোধ করেই খুন আরজি করের তরুণীকে, হাড়হীম করা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

Spread the love

চিরন্তন ব্যানার্জি:-

সোমবার আরজিকর হাসপাতালে নৃশংসভাবে খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পুলিশ সূত্রে জানানো হয় দেহের কোনও হাড় ভাঙেনি। তবে হাড় না ভাঙলেও, যে ধরনের আঘাত এবং তার যে বীভৎসতার কথা বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, তা দেখে শিউরে উঠতে হয়। প্রাথমিক ভাবে যে তথ্য শোনা গেছিল, মৃতার কলার বোন ও পেলভিক বোন ভাঙার, তা খারিজ হয়ে গেলেও সন্দেহ আরও দঢ় হয়, যে সে রাতে তরুণীর উপর শুধু একজন নির্যাতন করেনি।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বিস্তারিত ভাবে খুঁটিয়ে দেখে পুলিশের দাবি, ধর্ষণের আগে বীভৎস মারধর করা হয়েছিল তরুণীকে। তার পরেও তিনি প্রতিরোধ করলে, প্রবল বল প্রয়োগ করা হয়েছিল তাঁর উপর। তরুণীর বুকে আঘাত লাগে, শ্বাসরোধ করে দমবন্ধ করার প্রমাণ মিলেছে। ভেঙে যায় থাইরয়েড কার্টিলেজ, গলার হাড়েও নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। গলা টিপেই খুন করা হয়েছে ওই চিকিৎসককে। তবে নিজেকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন নির্যাতিতা। জানা গেছে, চশমার কাচ ভেঙে চোখে গভীর ক্ষত হয় তরুণীর। অপরাধীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রবল ধস্তাধস্তিতেই কাচ ভেঙে যায় এবং চোখে ঢুকে রক্ত বেরিয়ে যায়। মাথাতেও আঘাত রয়েছে তাঁর। রিপোর্ট বলছে, ধস্তাধস্তির সময়ে নির্যাতিতার মুখ চেপে দেওয়ালে ঠুকে দেওয়া হয়েছিল মাথা। মুখে আঁচড়ের ক্ষত রয়েছে। পাশাপাশি, তাঁর যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত রয়েছে। এতই ভয়ানক পেনিট্রেশন হয়, যার জেরে বিপুল রক্তপাত ঘটে এবং হাইমেন ফেটে যায়! যোনির ভিতরে ১৫০ গ্রাম বীর্য মিলেছে, যা ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতের একার পক্ষে যে ওই ঘটনা ঘটানো কঠিন– এই তত্ত্ব এখনই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় রায়ের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে ল্যাবে। সেই সঙ্গে ভাল করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*