সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন ১ ডিসেম্বর অর্থাৎ বুধবার থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবেন রাজ্যসভার বহিষ্কৃত ১২ সাংসদ ৷ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ৷ ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত শীতকালীন অধিবেশন চলবে ৷ এই সময় সোম থেকে শুক্র রোজ এই ১২ জন সাংসদ গান্ধী মূর্তির পাদদেশের ধর্নায় অংশ নেবেন ৷ সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তাঁদের এই প্রতিবাদ চলবে ৷
এদিন রাজ্যসভার বহিষ্কৃত দুই তৃণমূল সাংসদ মালা রায় এবং শান্তা ছেত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, গত বাদল অধিবেশনে পেগাসাস সহ অন্যান্য ইস্যু নিয়ে সংসদে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধী সাংসদরা ৷ কিন্তু, সেই সময় বিজেপির ৯০ জন সাংসদ আলোচনার পথে বাধা সৃষ্টি করেছিলেন ৷ আর সেই সঙ্গে দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রী সহ অন্যান্য সাংসদদের ওই ঘটনা (হিংসাত্মক আক্রমণ) ঘটাতে উস্কে ছিলেন ৷
আর এর জন্য বিরোধী সাংসদরা নন, বিজেপির ৯০ জন সাংসদ দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন ৷ এর জন্য তৃণমূল সহ বাকি বিরোধী সাংসদদের বদলে, ওই ৯০ জন সাংসদকে বহিষ্কার করার কথাও বলেন ডেরেক ৷ সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বহিষ্কৃত দুই সাংসদ বুধবার থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ স্বরূপ ধর্নায় বসবেন বলে জানিয়েছেন ডেরেক। পাশাপাশি তৃণমূলের তরফে এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাকি ১০ বহিষ্কৃত সাংসদদের অংশ নিতে আবেদন জানানো হয়েছে ৷
এ নিয়ে ডেরেক জানিয়েছেন, সংসদীয় রাজনীতিতে কেন্দ্রের স্বৈরাচারী নীতির বিরুদ্ধে বাকিদের সঙ্গে যৌথভাবে লড়তে প্রস্তুত তৃণমূল ৷ সেই কারণেই কংগ্রেস, সিপিআইএম, শিবসেনা সহ অন্যান্য বিরোধী সাংসদদের ওই ধর্না কর্মসূচিতে অংশ নিতে বলা হয়েছে ৷ তবে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে যেভাবে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর কৌশল তৃণমূল নিয়েছে ৷ সেখান থেকে তৃণমূলের এই আমন্ত্রণে বিরোধীরা সারা দেয় কি না, সেটাই এখন দেখার ৷
Be the first to comment