বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাজ্যের সব কনটেইনমেন্ট জোনে কড়া লকডাউন

Spread the love

লকডাউন থেকে আনলক হয়েছে দেশ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি তাতে খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। প্রতিদিনই রেকর্ড গড়ছে সংক্রামিতের সংখ্যা। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গও। কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় ক্রমেই চওড়া হচ্ছে করোনার থাবা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সমস্ত কনটেইনমেন্ট জোনে ফের কড়া লকডাউন শুরু হচ্ছে।

মঙ্গলবার নবান্নে বৈঠকে বসেছিল করোনা মোকাবিলায় গঠিত টাস্ক ফোর্স। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় আগামী বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা থেকে এলাকাভিত্তিক কনটেইনমেন্ট জোন ও বাফার জোনে কড়া লকডাউন শুরু হবে। ইতোমধ্যে এই সিদ্ধান্ত সব জেলাশাসকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন, জেলার কোথায়-কোথায় লকডাউন করতে হবে।

নবান্ন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, লকডাউন এলাকায় সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিল্প-কারখানা, বাজার-দোকান সমস্ত কিছুই বন্ধ থাকবে। যান চলাচলও করবে না। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ক্ষেত্রে শুধু ছাড় দেওয়া হবে। তাছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না।

কলকাতার ক্ষেত্রে অবশ্য গত ১৪ দিনে শহরের যে ১৯টি এলাকায় করোনার প্রকোপ সবথেকে বেশি, সেইসব জায়গায় মঙ্গলবার থেকেই কঠোর নজরদারি রাখতে শুরু করেছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, ওই এলাকাগুলিতে গত কয়েক দিনে অন্তত ২১৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গুঞ্জন উঠছিল, এলাকাভিত্তিক লকডাউন জারি হতে পারে করোনা সংক্রমণ নিয়ে চিন্তায় ফেলা এই সব এলাকায়। কলকাতা পুলিশ ও পুরসভা যৌথ ভাবে নজরদারি শুরু করছে। সোমবার রাত থেকেই বহু এলাকায় আগের মতোই বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া শুরু হয়েছে।

তবে শুধু তো কলকাতা নয়, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা-সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় করোনার প্রকোপ মারাত্মক হারে বাড়ছে। তাই কলকাতার পাশাপাশি ওই সব জেলাতেও ফের হতে চলেছে লকডাউন। তবে, কোন কোন অংশে লকডাউন কার্যকর হবে, তা ঠিক করবেন জেলাশাসকরাই।

ইতোমধ্যে অবশ্য বুধবার থেকে সাত দিনের জন্য মালদায় কঠোর লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডালখোলাতেও লাগু হচ্ছে নিয়ম। কলকাতায় ক্ষেত্রে অবশ্য সোমবার যে ২৮১ জন আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র ১৩ জন বস্তির বাসিন্দা। পুরসভা সূত্রে খবর, বিশেষ করে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন বহুতল আবাসনে বেশি ছড়াচ্ছে করোনা।

প্রথম দিকে বস্তি থেকে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেলেও, পরবর্তীকালে তা অনেকটাই কমেছে। মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তদের উন্নাসিকতাই এই সংক্রমণ ছড়াতে অনুঘটকের কাজ করছে বলে মনে করছে পুরসভার কর্তাব্যক্তিরা। সেই কারণে আগামী দিনকয়েক বা কয়েক সপ্তাহের জন্য এই এলাকাগুলিতে পুরোপুরি লকডাউনের পথেও হাঁটা হলে ফল মিলতে পারে বলে পুরকর্তারা বলছিলেন, বাস্তবে হলও তাই। পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতায় ২৮টি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে। সবগুলিতেই কঠোর লকডাউন পালন করা হবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*