বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনের অধিবেশন শেষ হল। বাণিজ্য সম্মেলন ছিল জমজমাট। গৌতম আদানি থেকে শুরু করে সজ্জন জিন্দল কিংবা আজিম প্রেমজি– শিল্পপতিদের উপস্থতিতে চাঁদের হাটে পরিণত হয়েছিল বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথমদিন৷ প্রত্যাশা মতোই এল বিনিয়োগও। রাজ্যে বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করলেন গৌতম আদানি। ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসবে রাজ্যে। অন্তত ২৫ হাজার নাগরিকের কর্মসংস্থানের প্রশ্ন জড়িয়ে আছে এই বিনিয়োগের সঙ্গে। যে ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর, কর্মসংস্থান বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছিলেন– সেই লক্ষ্যেই এবারের বাণিজ্য সম্মেলনের দিকে ঝাঁপিয়েছে সরকার।
তবে রাজ্যবাসীর জন্য খুশির খবর শুধু এটুকুই নয়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় আরও প্রাপ্তির জায়গা থাকছে রাজ্যবাসীর জন্য। এ দিনের সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের রাজস্ব আদায় ৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি, কোভিড অতিমারির সময়ও যে রাজ্যের জিডিপির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে, সে দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। তাঁর আগে অবশ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে একাধিক শিল্পপতিও এই ব্যাপারে নিজেদের মত দিয়েছিলেন। সজ্জন জিন্দাল নিজের ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, অতিমারির সময়ে বাংলার GDP প্রায় ৭.২% বৃদ্ধি পেয়েছিল। রাজ্যের প্রশংসা করেন, RPG গোষ্ঠীর কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় তাই আশাবাদী হতেই পারেন ব্যবসায়ীরা।
জিডিপি বা রাজস্বের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় আরও বেশ কয়েকটি বিষয় ছিল। তিনি বলেন ১০০ দিনের কাজে বাংলা প্রথম। অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবঅং মাঝারি ব্যবসার ক্ষেত্রে বাংলা শীর্ষে। এছাড়া সাফল্য আছে গ্রামীণ আবাসন নির্মাণেও। এই ক্ষেত্রেও বাংলার স্থান সবার উপরে। এমনকি অনলাইন টেন্ডার বা ই-টেন্ডারেও বাংলা এক নম্বরে। সব মিলিয়ে তাই ব্যবসায়িক নিরিখে বিনিয়োগকারীদের জন্য যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে সেটাই বুঝিয়ে দিলেন তিনি।
Be the first to comment