করোনা ভাইরাস রুখতে মাস্ক এখন বাধ্যতামূলক। তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের মাস্ক। কোভিড-১৯ রুখতে কোন ধরনের মাস্ক ব্যবহার করা উচিত, তা নিয়ে এখনও সংশয় আছে। N 95 মাস্ক ব্যবহারে প্রথমদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জোর দিলেও, পরে জানানো হয়, ওই বিশেষ মাস্ক সকলের ব্যবহারের জন্য ঠিক নয়। ত্রিস্তরীয় সার্জিক্যাল মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কেউ কেউ আবার সুতির মাস্কের পক্ষপাতী। আর এসবের মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্ট্রুমেন্টেশন বিভাগের পড়ুয়ারা আবিষ্কার করেছে এক উচ্চপ্রযুক্তির বৈদ্যুতিন মাস্ক। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এই মাস্কের তড়িৎ-চৌম্বকীয় প্রভাব ভাইরাস মারতে অতি সক্ষম। ফলে এই মাস্ক ব্যবহার করলে মারণ জীবাণুর বিরুদ্ধে যে কেউ যুদ্ধে সফল হতে পারবেন, এমনই দাবি গবেষক-পড়ুয়াদের।
মৌলিক আবিষ্কার, উদ্ভাবনীতে বরাবরই এগিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানকার মুক্তশিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষক-পড়ুয়ার সুসম্পর্ক, পুঁথিগত শিক্ষার সীমাবদ্ধ ছাড়িয়েগিয়েছে। সত্যিই যে এখানকার ছাত্রছাত্রীরা গবেষণামূলক কাজে অনেকের চেয়ে অনেক এগিয়ে, সম্প্রতি আবারও তার প্রমাণ মিলল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘ইলেকট্রনিক মাস্কের নকশা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন ইনস্ট্রুমেন্টেশন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। অনুমোদনের জন্য আমরা ICMR-এর কাছে আবেদন জানিয়েছি। ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছি। তা মিললেই উৎপাদন শুরু করা হবে।’ তবে এই মাস্ক বাজারে কবে পাওয়া যাবে কত দাম হবে, তা এখনই কিছু জানাতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়।
Be the first to comment